24 C
আবহাওয়া
৯:৩২ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » টিকার জন্য কারও কাছে ‘দাসখত’ দেয়া নেই:পররাষ্ট্রমন্ত্রী

টিকার জন্য কারও কাছে ‘দাসখত’ দেয়া নেই:পররাষ্ট্রমন্ত্রী

টিকার জন্য কারও কাছে ‘দাসখত’ দেয়া নেই:পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনএ ঢাকা: করোনা ভাইরাসের টিকা যেখানে পাওয়া যাবে বাংলাদেশ সেখান থেকেই নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। টিকার জন্য কারও কাছে ‘দাসখত’ দেয়া নেই বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার(২৭ এপ্রিল)চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়া-চায়না কোভিড ইমার্জেন্সি মেডিকেল ফ্যাসিলিটিজ নিয়ে বৈঠকের পর আব্দুল মোমেন আরও বলেন, কোনো দেশের কাছে নাকে খত দিয়ে বসে নেই বাংলাদেশ।করোনা ঠেকাতে রাশিয়া, আমেরিকা, চীন-যে কোন দেশ থেকেই টিকা আনা হবে।আগামি দু’সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিন হাতে আসবে।যুক্তরাষ্ট্র থেকেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,করোনার টিকা পেতে ৬টি দেশ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে চীনের উদ্যোগে নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’তে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ।করোনাকালে এক দেশ আরেক দেশকে সাহায্য ও সহযোগিতা করবে এটির ওপর এই ৬টি দেশ জোর দিয়েছে। এতে ভারতকেও অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে বেইজিং।

আব্দুল মোমেন বলেন,যখন কোনো দেশের টিকা প্রয়োজন হবে তখন তারা এই সুবিধা থেকে সাহায্য নেবেন। তাছাড়া তারা তিনটি সুবিধা দেবে। একটি হচ্ছে- পোস্ট কোভিড প্রোভারট্রি অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, করোনার কারণে দেশে দেশে যে দারিদ্র বাড়ছে তারা সেটি জানতে চায়। আর দারিদ্র যেন না বাড়ে সে বিষয়ে কাজ করতে চায়।তৃতীয়ত, করোনার কারণে সরাসরি বিক্রয় করতে না পারার কারণে তারা ই-কমার্স চালু করতে চায়।করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সব কিছুই করবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এছাড়া, করোনা টিকা, অক্সিজেনসহ চিকিৎসা সহায়তার জন্য সংরক্ষণাগার যে কোন সমুদ্রবন্দরের পাশে তৈরির প্রস্তাব রেখেছে বাংলাদেশ।

চীনের উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশ- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকার পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠকে নেতৃত্ব দেয় চীন। এতে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদ আর করোনা পরবর্তী দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে আলোচনা করেন তারা। বৈঠকে চীনের কাছ থেকে দ্রুত টিকা চায় বাংলাদেশ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না থাকায়, বাংলাদেশকে অনেক কিছু খতিয়ে দেখতে হচ্ছে।

শুরু থেকেই করোনা ভ্যাকসিনের জন্য বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল ছিল। গত নভেম্বরে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা আনতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে এই টিকা সরবরাহ শুরু করে বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ আসার কথা ছিল। ভারত সরকারের ২০ লাখ ডোজ উপহারসহ এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে।

কিন্তু, ভারতে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় সেই টিকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে বাংলাদেশের করোনা টিকা প্রয়োগ। টিকা পেতে অন্যদেশগুলোর সঙ্গে শুরু হয় দেনদরবার।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ