ঢাকা (২৭ মার্চ) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে এক মাহেন্দ্রক্ষণ অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের সময়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ব নেতাদের মূল্যায়ন বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের অগ্রগতির প্রতিফলন। জাতি হিসেবে এই প্রাপ্তি বিস্ময়কর বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী গতকাল বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো: মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারতের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুখেন বিশ্বাস, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুলা বেরা এবং অধ্যাপক
ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক শোয়াইব জিবরান।
বঙ্গবন্ধু একটি মানবিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সারাজীবন আন্দোলন করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ঠিক এটিই উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, চেগুয়েভার, মাওসেতুং, হুচিমিন, লেলিন কিংবা কার্লমাক্সকে জীবনে অধ্যয়ন করেছি। এসব অধ্যয়নের ফলাফল মূল্যায়ন করে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি বঙ্গবন্ধু ছিলেন অদ্বিতীয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষার কবর রচনা করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এদেশের ক্ষমতায় থেকে দেশের অগ্রগতি কেবল ব্যাহতই করেনি দেশকে পাকিস্তান বানানোর পায়তারা করে। পঁচাত্তর পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেখা দাঁড় করান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে। এসময় দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রয়াস চালান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। গত ১২ বছরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। শেখ হাসিনার আজ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে অগ্রগতির রোল মডেল। মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরি করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলার সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্দ্য উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলার নয় বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বে ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অহংকার।