বিএনএ,রাজশাহী: রাজশাহীর কাটাখালীতে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১৭জন নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে কাটাখালী থানায় হানিফ পরিবহনের অজ্ঞাত চালকের বিরুদ্ধে এই মামলা করে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে রাজশাহীর কাটাখালীতে হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুনে পুড়ে মারা যায় মাইক্রোবাসের চালকসহ ১৭ জন।
পুলিশ জানায়, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রাঙামাটি গ্রামের সালাউদ্দিন পরিবার পরিজন নিয়ে মাইক্রোবাসে করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা দেখতে যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি কাটাখালী পৌঁছুলে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ ৮ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে আরও ৬ জন মারা যান। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন।নিহতদের মধ্যে চারজন নারী ও ২ শিশু রয়েছে।
রাজশাহী নগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, সড়কে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে হানিফ পরিবহনের বাসটি বেপরোয়া গতিতে আসছিল। মাইক্রোটিকে সামনে থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ২০ গজ দূরে ঠেলে নিয়ে একটি লেগুনার সঙ্গে ধাক্কা লাগায়। তখনই মাইক্রোবাসের পেছনে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এতগুলো মানুষের প্রাণ মুহূর্তেই নিভে যায়। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ না হলে নিহতের সংখ্যা এত বেশি হতো না। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণেই এত মানুষ মারা গেল। হানিফ পরিবহন বেপরোয়াভাবে গাড়ি না চালালে এ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। হানিফ পরিবহন রং সাইডে গিয়ে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিয়েছে।
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহত ১৭ জনই রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে পীরগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজন ও এলাকাবাসীর আহাজারিতে হৃদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি