30 C
আবহাওয়া
২:৩৪ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বড় ভাইয়ের হাতে পুলিশ সদস্য খুন

বড় ভাইয়ের হাতে পুলিশ সদস্য খুন


বিএনএ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সহোদর ভাইসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাদকের টাকার জন্য মা-বাবাকে মারধর করায় পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেনকে তার সহোদর বড় ভাই হাবিবুল করিম তপু হত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ঢাকা ও মুক্তাগাছা উপজেলায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে মূল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়। কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বাঘের কান্দা গ্রামের মো. রেজাউল করিম ওরফে আবুলের ছেলে হাবিবুল করিম তপু ও জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম। হাবিবুল করিম তপু নিহত পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেনের সহোদর ভাই।

এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, বাঘেরকান্দা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা রেজাউল কবিম ওরফে আবুলের ছেলে ভিক্টিম নিহত পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিল। সম্প্রতি সে মাদক আসক্ত হয়ে পড়ায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে বাড়ীতে বসবাস করছিল। এসব কারণে পুলিশ বিভাগ থেকে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদন্ডে দণ্ডিত হয়েছিল সাদ্দাম হোসেন।

গত কিছুদিন ধরে সে মাদক সেবনের টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার করার পাশাপাশি বাবা-মাকে কয়েক দফা মারধরও করে। সেই সঙ্গে সে একটি মোটরসাইকেলও বন্ধক দিয়েছেন।

সম্প্রতি তার বাবা পরিবারের প্রয়োজনে একটি জমি বিক্রি করলে ওই টাকা দেওয়ার জন্য সাদ্দাম হোসেন তার বাবাকে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এই ঘটনায় পরিবারে ব্যাপক অশান্তি সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন সাদ্দামের ভাই হাবিবুল করিম তপু। ঘটনার দিন গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বন্ধু আনোয়ার হোসেনকে সাথে নিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে ডেকে স্থানীয় একটি মেহগণি বাগানে নিয়ে যায় তপু।

সেখানে বসে তপু তার ভাই সাদ্দাম হোসেনকে চাকরি ফিরে যেতে অনুরোধ করে মাদক থেকে সরে আসার অনুরোধ জানায়। কিন্তু ভাইয়ের এসব কথায় সাদ্দাম হোসেন পাত্তা না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গলায় রশি লাগিয়ে গাছের সাথে আটকিয়ে শ্বাসরোধ করে সাদ্দাম হোসেনকে হত্যা করে। এই কাজে তপুকে সহযোগীতা করে তার বন্ধু আনোয়ার হোসেন।

এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি শাহ কামাল আকন্দ।

বিএনএ/হামিমুর, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ