বিএনএ, ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের লকারে তল্লাশি চালিয়ে ব্যাংকটির সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীর রাখা ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ১ হাজার ৫ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে।
রবিবার(২৬ জানুযারি) দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমানের নেতৃত্বে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এস কে সুরের লকার খুলতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাত সদস্যের একটি দল কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সূত্র জানায়, টানা সাড়ে ১০ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে অভিযান সমাপ্ত করা হয় রাত ৯টা ২০ মিনিটে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা সালেহা নুর।
অভিযান প্রসঙ্গে কাজী সায়েমুজ্জমান বলেন, এস কে সুরকে সম্পদের হিসাব দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি হিসাব জমা দেননি। এ জন্য আমরা তার সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য তার বাসায় অভিযান চালাই। অভিযানে তথ্য পাওয়া যায় তার বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে মালামাল রয়েছে। তার ভিত্তিতে আদালতের অনুমোদনক্রমে রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে তল্লাশি করা হয়। সারাদিন তল্লাশি শেষে এক কেজি ৫ গ্রাম স্বর্ণ, এক লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পেয়েছি। যেসব এফডিআর পাওয়া গেছে, সেসব তার নামে নয়। যেসব অ্যাকাউন্ট আছে, তা আমরা যাচাই করব।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি দুদক ধানমন্ডিতে এস কে সুরের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করে। সেইসঙ্গে পাওয়া যায় ৪ কোটি ৪৫ লাখ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ও বীমার নথি। অভিযানের সময় তার মালিকানাধীন তিনটি ফ্ল্যাট সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়।
সম্পদের বিবরণ জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলায় গত ১৪ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক এই ডেপুটি গভর্নরকে। একই দিন এস কে সুর, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং তার মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে তিনটি পৃথক মামলা করে দুদক।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুদকের নজরদারিতে ছিলেন এস কে সুর। কর ফাঁকির অভিযোগে দুদক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এস কে সুর, তার স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে। এস কে সুরের সম্পদ নিয়ে দুদকের তদন্ত চলমান রয়েছে।
বিএনএনিউজ / আরএস