বিএনএ: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমার হাতে কখনও মোবাইল দেখেছেন? আমি কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে খুব সক্রিয়। কিন্তু আমি সে জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি বেঁধে দিয়েছি।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দিল্লিতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচিতে পরীক্ষার্থীদের মুখোমুখি হয়ে মোদি বলেন, প্রত্যেক বাড়িতেই একটা করে ‘টেকনোলজি ফ্রি জোন’ রাখা উচিত। সেই প্রযুক্তি বর্জিত অঞ্চলে মোবাইল, কম্পিউটার-সহ সব যন্ত্র ব্যবহার বন্ধ থাকবে।
মোদি বলেন, সপ্তাহে এক দিন কিংবা দিনে কয়েক ঘণ্টা ডিজিটাল মাধ্যম থেকে দূরে থাকার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি। এ প্রসঙ্গে নিজের উদাহরণ টেনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার হাতে কখনও মোবাইল দেখেছেন? আমি কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে খুব সক্রিয়। কিন্তু আমি সে জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি বেঁধে দিয়েছি।
পড়াশোনার জন্য সন্তানকে চাপ না দিতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে মোদি বলেন, বাচ্চাদের উপর প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দেবেন না। নিয়মানুবর্তিতার পাশাপাশি, শিক্ষকদের মোবাইল দেখে না পড়ানোর পরামর্শও দেন তিনি।
দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বড় পরীক্ষার শেষে পড়ুয়ারা যাতে বাইরের জগৎটা ঘুরে দেখার সুযোগ পায় সে পরামর্শও দেন মোদি। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সম্ভব হলে বাচ্চাদের হাতে কিছুটা টাকা দেবেন। ঘুরে আসতে বলুন। আর ফিরে আসার পর জানতে চাইবেন, ওরা বাইরে থেকে কী শিখে এল। জ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগের সুযোগ বাড়াতে মাতৃভাষার পাশাপাশি, পড়শি রাজ্যের ভাষা শেখার জন্য পড়ুয়াদের পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের ভরসা দিতে এমন ভার্চুয়াল সভা আগেও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার তাঁর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য মোট ৩৮ লাখ পড়ুয়া তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। মোট ২০ লাখ প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
এনসিইআরটি-র তরফে সেই প্রশ্নের যাচাই-বাছাই শেষে এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেন নরেন্দ্র মোদি।
বিএনএনিউজ/এ আর