বিএনএ, আদালত প্রতিবেদক : ক্যাসিনোকাণ্ডে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা দুই ভাই এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুই অর্থপাচার মামলায় অভিযোগ গঠন করেছন আদালত।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ বিচারিক আদালত-৫–এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তুহিন মুন্সি, জয় গোপাল, আবুল কালাম আজাদ, নবী হোসেন, সাইফুল ইসলাম, এনামূল ও রুপনের ভাই মেরাজুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া, শহিদুল হক ভূঁইয়া এবং তাদের সহযোগী পাভেল রহমান। তাদের মধ্যে এ মামলায় এনু ও রুপনের ভাই মেরাজুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া, শহিদুল হক ভূঁইয়া ও তাদের সহযোগী পাভেল রহমান পলাতক রয়েছেন।
২০২০ সালের ২২ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
উল্লেখ্য, এনু-রুপনের নামে ব্যাংকে ১৯ কোটি টাকা এবং পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ১২৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এ দুই ভাই।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসায় এবং তাদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর ও গেণ্ডারিয়া থানায় তাদের নামে ছয়টি মামলা হয়।
পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এনু-রুপনের লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। ওই বাড়ি থেকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে, পাঁচ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজ এবং এক কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের নামে আরও দুটি মামলা হয়।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার হন এনু-রুপন।বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
বিএনএ নিউজ/সাহিদুল/জেবি