রাজশাহী প্রতিনিধি: দুই বছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হারুনুর রশিদের (৩০)। সেই সময় কৌশলে ধারণ করে রাখেন প্রেমিকার অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও। নানা কারণে তাদের প্রেমের সম্পর্ক আর টেকেনি। এখন প্রেমিকার সেই অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন হারুন।
ওই তরুণী সাবেক প্রেমিক হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই সব ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলার অনুরোধও করেন। হারুন দাবি করেন টাকা। এরপর বিভিন্ন সময় ওই তরুণী তিন লাখ টাকাও দেন। কিন্তু তারপরও ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন হারুন। অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
হারুনের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নামকান গ্রামে। বাবার নাম শাহাজাহান প্রামানিক।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
আরএমপি কমিশনার জানান, হারুনুর রশীদ ওই তরুণীর সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেমের অভিনয় করেছেন। মেয়েটির দুর্বলতার সুযোগে হারুন তার অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি সংরক্ষণ করে রেখেন। নানা কারণে মানোমালিন্য হলে এখন তাদের আর সম্পর্ক নেই। গত ১১ জানুয়ারি মেয়েটি জানতে পারেন, হারুন অন্য একটি নামের ফেসবুক আইডি থেকে তার ভিডিও এবং ছবি পরিচিতদের ম্যাসেঞ্জারে পাঠাচ্ছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওই তরুণী হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসব মুছে ফেলার জন্য হারুন তখন ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। মানসম্মানের ভয়ে ওই তরুণী বিভিন্নভাবে টাকা ম্যানেজ করে হারুনের হাতে তুলে দেন। কিন্তু তারপরও হারুন থামেননি। আগের মতোই তিনি ভিডিও এবং ছবি ছড়াচ্ছিলেন ইন্টারনেটে। দাবি করছিলেন আরও টাকা। এ নিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় হারুনকে তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আনে।
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, হারুনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। সেটি ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। এতে বোঝা যাবে, হারুন আর কোনো তরুণীর সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন কিনা।
বিএনএ/এমএইচ