বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের এনআইডি কেলেঙ্কারির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের চুক্তিবদ্ধ ৫ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরসহ ১০ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সরবরাহকৃত এনআইডি কার্ড তৈরির ফরম এবং জন্মনিবন্ধন ফরম উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মো. কামাল হোসেন ওরফে মোহাম্মদ, পারভীন আক্তার, মো. নুরুল আবছার, শামসুর রহমান ওরফে শামসু মাস্টার, মো. ইয়াছিন আরাফাত, ডাটা এন্ট্রি অপরাটের মো. নুর নবী ওরফে রাহাত, মো. মিজানুর রহমান, ফরহাদুল ইসলাম, ইমন দাশ ও মো. কামাল।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম ও বন্দর) বিভাগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আলী হোসেন।
মুহাম্মদ আলী হোসেন জানান, হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলছিল। সেখানে রোহিঙ্গা ভোটার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, দুইজন রোহিঙ্গা ও পাঁচজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা এনআইডি কার্ড তৈরির ফরম-২ এবং জন্মনিবন্ধন ফরম ৬টি উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক শামসু মাস্টার কক্সবাজারের পোকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরির কাজে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তিনি চাকরিচ্যুত হন। রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরিতে যুক্ত থাকায় তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছিল।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ চক্রের আরও অনেক সদস্য আছে যাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিএনএ/ ওজি