বিএনএ, রাঙামাটি: রাঙামাটির মেঘের রাজ্য সাজেক ইউনিয়নের দূর্গম বেটলিং মৌজার ভারত সীমান্তবর্তী নিউথানাং গ্রামে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোম্বর) রাতে নিউথানাং গ্রামে প্রবল বাতাস ও ঝড়ে স্থানীয়দের বসতঘর ভেঙে যায়। অনেকের চালের ছন ওঠিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা হরেন বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, মঙ্গলবার রাতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। হঠাৎ দমকা ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে মুহূর্তে স্থানীয় বাসিন্দাদের ২০ টি ঘর ধুমরে-মুচড়ে চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়। এতে কেউ হতাহত না হলেও বসত বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
তথ্য অনুয়ায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হলো, থপ্রেসা ত্রিপুরা, সজেন্দ্র ত্রিপুরা, সুবকুমার ত্রিপুরা, রবেন্দ্র ত্রিপুরা, দজেন ত্রিপুরা, কর্কমোহন ত্রিপুরা, মহিন্দ্র ত্রিপুরা, বাহন কুমার ত্রিপুরা, অনঙ্গ সাধু ত্রিপুরা, গহেন্দ্র ত্রিপুরা, লকুমার ত্রিপুরা, খলেন্দ্র ত্রিপুরা, কুলেন্দ্র ত্রিপুরা, পূর্ণরশি ত্রিপুরা, হুকা ত্রিপুরা, মগেন্দ্র ত্রিপুরা, বহিনচা ত্রিপুরা, বেরাই কুমার ত্রিপুরা, নবীন মোহন ত্রিপুরা ও কেনরঞ্জন ত্রিপুরা।
এ বিষয়ে সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, এলাকাটি খুবই দুর্গম হওয়ায় পায়ে হেঁটে যেতে ২ দিন লেগে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলেছি তালিকা তৈরি করে পরিষদে জমা দেয়ার জন্য।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানান, সাজেক ইউনিয়নের সবচেয়ে দূর্গ অঞ্চল নিউথাংনাং। সেখানে অধিকাংশ বাসিন্দা দরিদ্র, কাঁচা ঘর হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। সাজেক ইউপি চেয়ারম্যানকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তালিকা হাতে পেলে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনএ/কাইমুল, এমএফ
