বিএনএ পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দিকে বোদা উপজেলার আওলিয়া ঘাট ঘটনাস্থল থেকে ১৬ কি.মি. দূরে দেবীগঞ্জ ব্রিজ ও শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝারি এলাকার করতোয়া নদী থেকে ১৪ জনের ভেসে থাকা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৯ জনে।
এর মধ্যে শিশু ১১ , নারী ২১ জন ও পুরুষ সাতজন।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপ পরিচালক শেখ মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘সকাল থেকে পঞ্চগড় এবং আশপাশের জেলার আটটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে। এর বাইরে রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং রাজশাহী থেকে তিনটি ডুবুরি দলে মোট ৯ জন ডুবুরি উদ্ধার কাজ অংশ নিয়েছেন।’ তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আর তালিকাভুক্ত নিখোঁজের সংখ্যা ৬১ জন।
এদিকে মর্মান্তিক এই নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজের স্বজনরা সোমবার সকালে সূর্য ওঠার পর থেকেই ঘটনাস্থল করতোয়ার আওলিয়ার ঘাট ও এর আশপাশে নিজ উদ্যোগে তাদের স্বজনদের খোঁজ করছেন।
রোববার দুপুরে বোদা বদ্বেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া উৎসব উৎযাপন করতে প্রায় দেড় থেকে ২০০ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী মাড়েয়া এলাকা থেকে বদ্বেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোর জন্য আওলিয়া ঘাটের করতোয়া নদীর মাঝে যাত্রীসহ ডুবে যায় নৌকাটি।
নিহতদের মধ্যে বোদা উপজেলার ২৪ জন, দেবীগঞ্জের ১৩ জন, অটোয়ারীর একজন এবং ঠাকুরগাঁও সদরের একজন রয়েছেন।
আত্রাই নদী থেকে ৫জনের লাশ উদ্ধার
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবিতে নিহতের ঘটনায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আত্রাই নদীতে মিললো চার নারী ও এক শিশুর মরদেহ ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা আত্রাই নদী থেকে সোমবার(২৬ সেপ্টেম্বর) পৃথকভাবে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার আত্রাই নদীর বাসুলী চেয়ারম্যান পাড়া, জয়ন্তীয়া ঘাট ও ঘাটপার থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার হয়।
মরদেহ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি থানা পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকগণ অংশ নেয়।
উদ্ধারকৃত পাঁচজন হলেন, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার শক্তিপদ রায়ের স্ত্রী ঝর্ণা বালা রায় (৫২), বোদা উপজেলার সহিন রায়ের স্ত্রী সুমিত্রা রাণী, বিমল চন্দ্র রায়ের ছেলে সূর্য রায়, ঠাকুরগাঁও সদরের অনন্ত রায়ের স্ত্রী পুষ্পারাণী (৫২) ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ভূপেন রায়ের স্ত্রী রুপালী রায় (৩৭)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, খানসামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মমতাজ ইসলাম।
খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, উদ্ধারকৃত পাঁচজনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় হওয়া নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: খানসামা থেকে নদী পথে বোদা উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ,জিএন