নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় সুবর্ণচর উপজেলার থেকে স্থানীয়রা দুই শিশুসহ ৯ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
রোববার (২৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ। এর আগে,শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের থানারহাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত রোহিঙ্গারা হলো,ভাসানচর আশ্রয়ণের ১১নং ক্লাস্টারের মো.সালামের ছেলে নূর কাসেম (১৯),৭৩নং ক্লাস্টারের নজিবুল্লার ছেলে করিমুল্লাহ (২২), ৫০ ক্লাস্টারের আমির হোসেনের ছেলে হোসেন জদ্দার (২৭), ৭৪নং ক্লাস্টারের খলিল আহমদের ছেলে ইউনুস, ৮৬নং ক্লাস্টারের করিম উল্যার স্ত্রী সৈকত তারা,৮১নং ক্লাস্টারের নূর কাসেমের স্ত্রী রাজুর মা, ৬৮নং ক্লাস্টারের মৃত খাইরুল আলমের স্ত্রী পারভিন(২৫), খাইরুল আলমের মেয়ে ঝরনাতলা (৭), ছেলে নূরুল ইসলাম (৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার থানারহাট বাজারে ঘোরাঘুরি করছিল কয়েকজন রোহিঙ্গা। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে তাদের চরজব্বর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওসি আরো জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা স্বীকার করেছেন দালালের মাধ্যমে তারা ভাসানচর থেকে কক্সবাজারের কুতু পালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পালিয়ে আসেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এরআগে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন থেকে স্থানীয়রা এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আটককৃত রোহিঙ্গা দীন মোহাম্মদ (৫৫) ভাসানচর আশ্রয়ণের ৬৮নং ক্লাস্টারের মৃত মুক্তার হোসেনের ছেলে।
শনিবার (২৫ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামের নিমতলা বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, আটককৃত রোহিঙ্গা ৬মাস আগে কক্সবাজারের কুতু পালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচর রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসেন। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
জিআর,জিএন