বিএনএ, সাভার : ঢাকার ধামরাইয়ের চাঞ্চল্যকর দানিশ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জিন্নাত আলী (৩৮) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
শুক্রবার (২৬ মে) দুপুর ২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
এর আগে, বুধবার ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন উলাইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জিন্নাত আলী ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের মো. নান্নু মিয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, ২০০৯-১০ সালের দিকে আসামি জিন্নাত আলীর নেতৃত্বে একটি চক্র ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ২০১০ সালে তারা উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের দানিশ (১৪) নামে এক কিশোরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। তবে ওই কিশোরের পরিবার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়ায় তারা দাবিকৃত অর্থ পরিশোধ করতে সমর্থ ছিলো না। যার প্রেক্ষিতে তারা স্থানীয় থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে।
মুক্তিপণের অর্থ না পেয়ে ওই কিশোরকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ফেলে যায়। পরে পুলিশ একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে কিশোরের মরদেহ খুঁজে পায়। এ ঘটনায় মৃতের মা শোভা আক্তার ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ আসামি জিন্নাতসহ তার একাধিক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। বিচার চলার সময় ১৮ মাস কারাভোগের পর আদালত তাকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেয়। ২০২২ সালে ওই মামলায় অপহরণ ও হত্যায় জড়িত থাকায় জিন্নাতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। এরপর থেকেই আসামি জিন্নাত গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। সে ছদ্মবেশ ধারণ করে সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি ও রিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করে আসছিলো।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, ১২ বছর আগের মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়ার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন জিন্নাত আলী। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার জন্য ধামরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি