বিএনএ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের বিপরীতে বসুদা বিল্ডার্সের নির্মাণাধীন ১২ তলা ভবনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ভবনটিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫০টি মশাল উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ব্যাগ পেয়েছে, যার ভেতরে বিস্ফোরক থাকার সন্দেহে পুলিশ সেগুলো ঘিরে রেখেছে। অভিযানে মো. রাব্বির (২০) নামে এক রাজমিস্ত্রি আটক করলেও পালিয়ে যায় কমপক্ষে ২০ জন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বসুদা বিল্ডার্সের নির্মাণাধীন ১২ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের ধারণা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবকে ঘিরে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে মশাল ও হাতবোমা তৈরি করা হচ্ছিল। অভিযানের সময় যারা পালিয়ে গেছে তাদেরকে বিএনপির নেতাকর্মী বলে ধারণা করছেন পুলিশ।
জানা যায়, আটক হওয়া মো. রাব্বির (২০) ভোলা জেলার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ৬০০ টাকার বিনিময়ে মশাল বানিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে ভাড়া করা হয়। পুলিশের অভিযানে সময় ভবনের থাকা সবাই পালিয়ে যেতে পারলেও পালাতে পারেনি রাব্বি। এছাড়া ১২ তলা ভবনটিতে যেতে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের ভেতরে দিয়ে নালা পার হয়ে যেতে হয়। ভবনটিতে ঢোকার সরাসরি কোনো রাস্তা নেই। ভবনের তৃতীয় তলায় দরজা-জানালাবিহীন একটি রুমে পাওয়া যায় বাঁশের লাঠির মাথয় চটের দড়ি ও তার পেঁচানো কিছু মশাল। আর সেগুলোর আড়ালে রাখা আছে একটি ব্যাগ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (উত্তর) বিভাগের উপ কমিশনার ( ডিসি) বিজয় বাসাক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমরা প্রায় ১৫০টি মশাল পেয়েছি। একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। ব্যাগের মুখ বাধা। সেখানে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু আছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। এজন্য বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিটকে আনা হয়েছে। কিন্তু রাতের বেলা বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ হয় না। কাল শুক্রবার সকালে বোমাসদৃশ ব্যাগটি তল্লাশি করবে তারা। এ জন্য আমরা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছি।
বিএনএনিউজ/ মনির