বিএনএ, চবিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ছাত্রলীগের হাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে হেনস্তার ঘটনায় চবি সাংবাদিক সমিতি কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এতে একমত পোষণ করে চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করে চবিসাস ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে চবিসাস। এ সময় ৪ ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংবাদ সংগ্রহ থেকে বিরত থাকে সাংবাদিকরা।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, এ ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন চাকসুর কার্যক্রম নেই৷ চাকসু না থাকাতে ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর মুখপাত্র হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছে সাংবাদিকরা৷ যখন সাংবাদিকদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়, তখন মূলত সব শিক্ষার্থীর স্বাধীনতাই কেড়ে নেয়া হয়৷
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনা চবি ক্যাম্পাসে নতুন নয়৷ কার্যকর শাস্তি না হওয়ায় বারবার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে৷ আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার বিচার দাবি করছি৷ নতুবা পরবর্তীতে প্রশাসনের সব ধরনের সংবাদ বর্জনসহ কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে চবিসাস।
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ঘটনার পরে প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে৷ কিন্তু ঘটনার ১৭ দিন পার হলেও বিচার তো দূরের কথা তদন্ত প্রতিবেদন পর্যন্ত জমা হয়নি। বিচারের এমন দীর্ঘসূত্রতা বিচারহীনতার নামান্তর।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থী কিংবা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। যারা অভিযুক্ত তাদের সবার পরিচয় স্পষ্ট। প্রশাসন তাদের সবাইকে চিনে৷ তাও এতদিনে বিচার নিশ্চিত করতে না পেরে প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে৷ পূর্বেও এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে৷ প্রশাসন সেসব ঘটনায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। যার কারণেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার নিশ্চিত না করলে আমরা প্রশাসনিক সব ধরনের সংবাদ বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমরা তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দিতে বলবো এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিএনএ/ সুমন বাইজিদ,ওজি