বিএনএ, ঢাকা : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পে রোবটকে বাংলায় কথা বোঝানোর প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে। এছাড়া বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত ‘বাংলা থেকে আইপিএতে রূপান্তর সফটওয়্যার ‘ধ্বনি’ ও ‘বাংলা ডট গভ ডট বিডি’ ওয়েবসাইট এর পরীক্ষামূলক উন্মুক্তকরণ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, প্রকল্পের আওতায় ভাষা-প্রযুক্তি ও কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার অনেকগুলো সার্ভিস ও রিসোর্স তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০টি পাবলিক ফেসিং সার্ভিস, ১৬টি রিসার্চ টুলস ও রিসোর্স, ৮ ধরনের স্ট্যান্ডার্ড ও প্রিন্টেড রিসোর্স এবং ১০ ধরনের করপাস ও ডেটাসেট। এই প্রকল্প শতভাগ জিওবি ফান্ডেড এবং এখানে স্থানীয় রিসোর্স ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল বাংলা ভাষাভাষী যেমন এর প্রত্যক্ষ উপকার পাবে এবং ক্ষদ্র-নৃগোষ্ঠী সদস্য ও বাক-দৃষ্টি-শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে সুফল পাবে। ২০২১ সালের মধ্যে অধিকাংশ সার্ভিস জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারবে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘বাংলা ডট গভ ডট বিডি’ ও ‘ধ্বনি’ সফটওয়্যারটির ‘পরীক্ষামূলক সংস্করণ’ প্রকাশ করা হলো।
তিনি জানান, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এছাড়াও গ্লোবাল প্লাটফর্মে নেতৃস্থানীয় ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করা। বিশেষ করে, কম্পিউটিং ও আইসিটিতে বাংলা ভাষাকে অভিযোজিত করা বা খাপ খাইয়ে নেয়া। তিনি বলেন, বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে রিয়েল-টাইম অটোমেটিক স্পিচ টু স্পিচ মেশিন ট্রান্সলেশনসহ বিভিন্ন রিসোর্সের প্রয়োজন হয়।
উল্লেখ্য, ‘বাংলা ডট গভ ডট বিডি’ হচ্ছে ভাষা-প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রযুক্তির প্লাটফর্ম। প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নকৃত বাংলা ভাষার বিভিন্ন সার্ভিস পাওয়া যাবে এই প্লাটফর্ম থেকে। বর্তমানে এটি প্রোডাক্ট শোকেস ও ইনফরমেশন পোর্টাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ও গবেষকবৃন্দ সকল যোগাযোগ রক্ষা করবে। এই পোর্টালটিই হয়ে উঠবে বাংলা ভাষা-প্রযুক্তির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাব।
‘ধ্বনি’ আইপিএ বিষয়ক অ্যাপ্লিকেশনটি হচ্ছে মূলত কনভার্টার ইঞ্জিন, যা বাংলা থেকে আইপিএতে স্বয়ংক্রিয় ভাবে রূপান্তর করতে পারে। এতে অন-স্ক্রিন কি-বোর্ড ও এমবেডেড ফন্ট রয়েছে। এক্সপোর্ট ও কপির অপশন রয়েছে। অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরিতে মেশিন লার্নিং তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক সংস্করণ উন্মুক্ত হচ্ছে। দ্রুত ইউজার ফিডব্যাক নিয়ে স্টেবল ভার্সন প্রকাশ করা হবে। (বাসস)
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।