29 C
আবহাওয়া
৪:০৫ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জুমার দিনের যেসব আমল করণীয়

জুমার দিনের যেসব আমল করণীয়

জুমা

ধর্ম ডেস্ক: ‘গোসল’ শব্দটি আরবি ‘গুসল’ শব্দ থেকে এসেছে। পুরো দেহ ধোয়ার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি মাধ্যম হলো গোসল। ইসলামের দৃষ্টিতে গোসলের তিনটি ফরজ রয়েছে। কারো ওপর গোসল ফরজ হয়ে গেলে সে এই তিনটি ফরজ আদায় না করা পর্যন্ত পবিত্র হতে পারবে না।

গোসলের ফরজ তিনটি—

১. কুলি করা। (বুখারি, হাদিস : ২৫৭ ও ২৬৫)/

২. নাকে পানি দেওয়া। (বুখারি, হাদিস : ২৬৫)/

৩. সমগ্র শরীরে এমনভাবে পানি পৌঁছানো, যাতে কোনো স্থান শুকনা না থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২১৭)

ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিদিন গোসল করা বাধ্যতামূলক নয়।

তবে জুমার দিন মানুষ যেহেতু জনসমাগমে যায় এবং ইসলামের অন্যতম বিধান জুমার নামাজ আদায় করতে যায়, তাই এদিন গোসল করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উত্তম। আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে জুমার দিন গোসলের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আওস ইবনু আওস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, যে ব্যক্তি গোসল করল এবং গোসল করাল, সকাল সকাল মসজিদে এলো, ইমামের নিকটবর্তী হয়ে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল এবং নিশ্চুপ থাকল—তার জন্য প্রতি কদমের বিনিময়ে এক বছরের (নফল) রোজা ও নামাজের সওয়াব রয়েছে। ওয়াকি বলেন, ‘গোসল করল এবং করাল’ শব্দের অর্থ নিজে গোসল করল এবং স্ত্রীকে গোসল করাল।

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে, যথাসাধ্য উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে এবং নিজের তেল থেকে ব্যবহার করে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে, অতঃপর বের হয় এবং দুজন লোকের মধ্যে ফাঁক না করে (অর্থাৎ পরে গিয়ে মানুষের ঘাড় টপকে সামনে যাওয়ার চেষ্টা না করে), অতঃপর তার নির্ধারিত নামাজ আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে, তা হলে সে জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত সময়ের তার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ৮৮৩)

উল্লিখিত হাদিসে জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

উত্তমরূপে গোসলের সহজ পদ্ধতি হলো নবীজি (সা.)-এর সুন্নত মোতাবেক গোসল করা। সুন্নতমতো গোসল করার জন্য নিম্নোল্লিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

১. গোসল শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ পাঠ করা।

(জমউল জাওয়ামে : ১৩০৭৩)
২. পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করা। (বুখারি : ১)

৩. উভয় হাত প্রথমে কবজি পর্যন্ত ধৌত করা। যেমন—অজুতে ধোয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ২৪০)

৪. কাপড় অথবা শরীরে নাপাকি লেগে থাকলে তা গোসলের আগে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া। (মুসলিম, হাদিস : ৪৭৪)

৫. গোসলের আগে অজু করা। কিন্তু জায়গা যদি এত নিচু হয় যে পানি জমে যায়, তবে পা পরে ধৌত করা। (বুখারি, হাদিস : ২৪০, ২৪১)

৬. পুরো শরীরে তিনবার পানি প্রবাহিত করা। (মুসলিম ৪৭৪, ৪৭৬; মওসুআতুল ফিকহিয়া আল কুয়েতিয়্যা : ৩১/২১৫)

৭. প্রথমে মাথায় পানি ঢালা, এরপর ডান কাঁধে এবং পরে বাম কাঁধে পানি ঢালা। (বুখারি, হাদিস : ৫৪০৬, ২৫০)

৮. শরীরকে ঘষামাজা করে ভালোভাবে ধোয়া। (আবু দাউদ ২১৬, আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ১/৪৬৭)

৯. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ধারাবাহিকভাবে ধোয়া, যাতে এক অঙ্গ ধুতে গিয়ে অন্য অঙ্গ শুকিয়ে না যায়; গোসল সম্পর্কে যত হাদিস আছে সবার মর্মার্থ থেকে এটিই প্রতীয়মান হয়।(বুখারি : ২৫৭)

মহান আল্লাহ সবাইকে জুমার দিনের এই অন্যতম সুন্নতটি যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ