বিএনএ দিনাজপুর: দিনাজপুরের পথে-ঘাটে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদ রঙের সমারোহ। সরিষা ক্ষেতে শোভা পাচ্ছে সারি সারি মৌ বক্স। মৌমাছির আনাগোনা, মধু আহরণ আর সরিষা ফুলের দৃষ্টি নন্দিত দৃশ্য যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
ভোজ্য তেলের মোট চাহিদা মেটাতে উত্তরের শষ্য ভান্ডার খ্যাত দিনাজপুর জেলায় সরিষা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। প্রতিকুল আবহাওয়া সত্ত্বেও এই অঞ্চলে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়। সরিষা ক্ষেতে মৌ বাক্স বসিয়ে মধু আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌখামারী উদ্যোক্তারা। মধু উৎপাদনে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বিজ্ঞান ভিত্তিক মধু সংগ্রহে অনেকটা বাড়তি আয়ের পাশাপাশি সরিষার ফলন বৃদ্ধির সহায়তা পাচ্ছে কৃষক। এমনটাই বলছেন, মোসাদ্দেক মৌ খামারের স্বত্তাধিকারি মোসাদ্দেক হোসেন।
মৌ চাষী-উদ্যোক্তা বিষয়ক গবেষক দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক বলেন, মাটির সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সরিষা চাষ অত্যন্ত লাভজনক। উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ ও ক্ষেতে মধু উৎপাদন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা দেশের জন্যে কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দিনাজপুর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক রওনাকুল ইসলাম জানান, বেকার যুবক এবং উদ্যোক্তাদের সরিষা ক্ষেতে মৌ পালনের পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সরিষা ক্ষেতে জেলার প্রায় ৪০টি মৌ খামারে চলছে মধু উৎপাদনের কাজ। এ বছর দেড়শ মেট্রিক টন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/এস শাহী, আরকেসি