বিএনএ, রাঙামাটি : হ্রদ, পাহাড় ও মেঘের দেশ রাঙামাটি। টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকে টইটম্বুর পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। মেঘের দেশ সাজেকে হোটেল-রিসোর্টে কক্ষ (রুম) না পেয়ে অনেক পর্যটক রাস্তায়, গাড়ি ও স্থানীয়দের বাড়িতে রাত কাটাচ্ছেন। এ ছুটিতে প্রায় লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটবে এবং ডিসেম্বর মাস জুড়ে এমন ভিড় থাকবে জানান পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যোগ হয়েছে বড় দিনের ছুটি। এতে রাঙামাটি শহরের অধিকাংশ হোটেল ৮০-৯০ শতাংশ আগে থেকে বুকিং হয়ে গেছে। সাজেকে শত ভাগ বুকিং। অনেকে আগে থেকে বুকিং না দেওয়ায়, কক্ষ না পেয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে গাড়িতে ও রাস্তায়। রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মাইকিং করে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
এদিকে শহরের ঝুলন্ত সেতু, অরণ্যক, সুবলং ঝর্ণা, পলওয়েল পার্ক ও কাপ্তাই পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। স্মৃতি ধারণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে পর্যটকরা। পর্যটকদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন মালিক সমিতি।
খুলনা থেকে ঘুরতে আসা শাহাব উদ্দীন বলেন, স্কুল বন্ধ হওয়ায় বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। সবুজ পাহাড়ের উপর সাদা মেঘের ভেলা দেখে সন্তানরা অনেক খুশি। অনেক আনন্দ করছি আমরা।
শহরের স্কয়ার পার্কের স্বত্বাধিকারী নেয়াজ আহমেদ বলেন, আমার হোটেলে সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। নতুন করে কাউকে রুম বুকিং দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেকের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বুকিং হয়ে গেছে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বড়ুয়া জানান, ‘সিম্বল অব রাঙামাটি খ্যাত ঝুলন্ত সেতু এলাকায় অনেক পর্যটক আসেন। আবাসিক রুমে প্রায় বুকিং হয়ে গেছে। আজ সকাল থেকে সন্ধ্যায় অবধি প্রায় ৩ হাজার মানুষ ঝুলন্ত সেতু এলাকায় প্রবেশ করেছেন।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি রাহুল চাকমা জানান, তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকে টইটম্বুর সাজেক। কক্ষ বুকিং না করে চলে আসাতে পর্যটকদের থাকার সমস্যা হচ্ছে। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে মাইকিং করে বিভিন্ন জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তারপরও কিছু পর্যটককে কটেজের বারান্দায় রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে। তিনি ভোগান্তি এড়াতে অবশ্যই বুকিং নিশ্চিত করে সাজেক আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
সাজেকে কক্ষ না পেয়ে রাত্রিযাপনের বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, অনেক পর্যটককে দেখেছি, কক্ষ না পেয়ে পথে পথে ঘুরছেন। অনেক রিসোর্টের মালিক এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া নিয়েছেন বলেও অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখানে আসার ক্ষেত্রে পর্যটকদের আরও সচেতন হতে হবে। এ ধরনের ছুটিতে প্রতিবার একই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
বিএনএনিউজ/কাইমুল ইসলাম ছোটন
/এইচ.এম।