বিএনএ, চট্টগ্রাম : আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট টানতে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এক প্যানেল থেকে মনোনয়ন নিয়ে উভয় প্যানেলের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় নেমেছেন উনি। উভয় প্যানেলের ভোট টানতে এই কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন ডা. মো. পারভেজ ইকবাল শরীফ নামের এই প্রার্থী।
জানা যায়, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ডা. পারভেজ ইকবাল শরীফ প্রথমে প্রফেসর ডাক্তার এম এ তাহের খান-মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। একই সাথে ডা. আঞ্জুমান-আরা ইসলাম, ডা. মো. আরিফুল আমীন প্যানেল থেকেও জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে মনোনয়ন ফরম নেন তিনি।
মনোয়ন ফরম জমার দিনে উভয় প্যানেলের দুটি ফরম জমা দিলেও পরে সংগ্রহ হয়েছে মর্মে ডা. আঞ্জুমান-আরা ইসলাম, ডা. মো. আরিফুল আমীন প্যানেল থেকে তার মনোনয়ন ফরম বাতিল হয়ে যায়। প্রফেসর এম এ তাহের খান-মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ প্যানেলের সহ-সভাপতি মনোনীত হলেও নির্বাচনে জিততে তিনি উভয় প্যানেলের সহ সভাপতি হিসেবে প্রচারণা অব্যাহত রাখেন।
সূত্র জানায়, ডা: পারভেজ মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর সর্বশেষ নির্বাচনের সময় জামালখান ওয়ার্ড থেকে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচন করেছিলেন। সেবামুলক প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে জিততে তিনি এ কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডা. মো. পারভেজ ইকবাল শরীফ গণমাধ্যমকে জানান, , “আমি ডা. এম এ তাহের খান প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী। অপর প্যানেলে ছবির ব্যাপারে আমি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। ওই প্যানেলে জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রার্থী হিসেবে আমার ফরম নিয়েছিল, তা বাতিল হয়ে গেছে। তবে ওই প্যানেলকে ছবি ব্যবহার করায় কোন আইনি নোটিশ দেয়া হয়নি এবং এ বিষয়ে নির্বাচন বিধিতে কোন সমস্যা নেই।”
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের গণসংযোগ আর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠছে। এতে প্রফেসর ডাক্তার এম এ তাহের খান-মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ ও ডা. আঞ্জুমান-আরা ইসলাম- ডা. মো. আরিফুল আমীন নামে দুটি প্যানেলে প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
বিএনএনিউজ২৪ডটকম