নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে কখনো ক্ষত-বিক্ষত করবেনা। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়নের গতিকে স্লো করতে পরিবেশ রক্ষার নামে কিছু লোক ঢুকে পড়েছে, সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী রবিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব নদী দিবস’ উপলক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘রাইটস অব রিভার্স’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান ও সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী রক্ষায় ধারাবাহিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। মোংলা বন্দরে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আসছে। এতে বন্দরের কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু নদী ও পরিবেশ নিয়ে অপরাজনীতির পায়তারা করছে একটি মহল। যথাযথ নিয়ম মেনে উন্নয়ন প্রকল্প করতে গেলেই বাধা আসে। এমনকি এই নিয়ে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছেন অনেকে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী রক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্ছের সম্মুখীন হতে হয়। নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। তবে নদী রক্ষা ও উদ্ধার কার্যক্রমে বেশ কিছু বাধা পেয়েছি। নদীর তীরে নদীর জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরের মত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সাথে কথা বলেছি। এ বিষয়ে তারা আমাদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সকলের সহযোগিতায় নদীর তীর দখলমুক্ত করার চেষ্টা করছি। বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ্যমে ৯০ ভাগ নদীর জায়গা দখলমুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিটি বক্তব্যে নদী রক্ষার কথা বলেন। সে থেকে বুঝতে হবে বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় কতটা সচেতন। কেননা, শরীরে রক্ত চলাচলে যেমন শিরা-উপশিরা প্রয়োজন, তেমনি দেশের সকল ধরনের পানির প্রবাহ অব্যাহত রাখতে নদীর শাখা প্রশাখা সহযোগিতা করে থাকে।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন