বিএনএ ঢাকা: দেশের ৫০ বছরের সব অর্জন, আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করে সরকার বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারা সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার নিজেদের মতো সংবিধানও পরিবর্তন করেছে। ব্যক্তি সুরক্ষা আইনের নামে গণমাধ্যম ও বাক স্বাধীনতা হরণের কৌশল নিয়েছে তারা। এদেশের মানুষ এক দলীয় শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা চায় না। তারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে। তাই সরকারের পতনে রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজন বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।
আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে সরিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের জনগণের ঐক্যের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, বিরোধী ঐক্যে বিভক্তি আনতে সরকার তার এজেন্সিগুলোকে সক্রিয় করেছে। পেশাজীবী সংগঠনগুলোর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। যারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব চায়- তাদের মধ্যে বিভিন্নভাবে ঐক্যের বিনষ্ট ঘটানো হচ্ছে। এই বিষয়টা সম্পর্কে সবাইকে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ নানা কালাকানুনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বোবা জাতিতে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করা ছাড়া বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে-মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই কমিশন সম্পূর্ণভাবে একটা আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি