22 C
আবহাওয়া
৪:১৯ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রাম চেম্বারে পরিবারতন্ত্র ভাঙতে চান ব্যবসায়ীরা

চট্টগ্রাম চেম্বারে পরিবারতন্ত্র ভাঙতে চান ব্যবসায়ীরা

চট্টগ্রাম চেম্বারে পরিবারতন্ত্র ভাঙতে চান ব্যবসায়ীরা

বিএনএ,চট্টগ্রাম:চট্টগ্রাম চেম্বারে পরিবারতন্ত্র ভাঙতে চান ব্যবসায়ীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের।বিগত এই সরকার রাজনৈতিক সংগঠন থেকে সর্বক্ষেত্রে বসাইছে কালো থাবা। একের পর এক রাজনৈতিক সংগঠন গুলোর মত ধ্বংস করেছে অর্থনৈতিক সংগঠন গুলো। এর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামী স্টাইলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজে চলছে পরিবারতন্ত্র, স্বৈরশাসন।

এ দিকে বিগত সরকারের মদদপুষ্ট ভোটবিহীন বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছ ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রামের বৈষম্যের শিকার বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে রবিবার (২৫ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় নগরীর আগ্রাবাদের চেম্বার ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের শতবর্ষী সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজে কালো যুগের অবসানে সোচ্চার ব্যবসায়ীরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিষয়টি আবারও নতুন করে সামনে এসেছে। সেই আঁধার অধ্যায়ের অবসান চেয়ে মাঠে নেমেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। ‘পরিবারতন্ত্র-স্বৈরশাসনমুক্ত’ চেম্বার গড়ার দাবি তুলেছেন তারা। এতে শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারে পরিবারতন্ত্র ভেঙে নতুন নেতৃত্ব আনার দাবি জানান চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতারা। এ সময় তাঁরা চেম্বারে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি জানান। চট্টগ্রাম চেম্বারে গত পাঁচটি নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি।

চট্টগ্রাম বঞ্চিত ব্যাবসায়ী ফোরামের আহবায়ক এস এম সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের ৩৬ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যোগ দেন।

এসময় সংগঠনের আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার কোনো পারিবারিক প্রতিষ্ঠান নয়। কিন্তু বিগত কমিটিগুলো এটিকে পারিবারিক সংগঠন বানিয়ে ফেলেছে। ব্যবসায়ী সংগঠনে ব্যবসায়ীদের সুযোগ না দিয়ে ছেলে মেয়ে জামাতাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আসল ব্যবসায়ীরা সুযোগ পাননি। ঐতিহ্যবাহী চিটাগাং চেম্বার অব কমার্সকে ১৭ বছর ধরে স্বৈরশাসনের আজ্ঞাবহ করে রাখা হয়েছে। স্বৈরশাসন ও পরিবারতন্ত্র দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। আমরা চাই, ব্যবসাবান্ধব চিটাগাং চেম্বারের ভূমিকা নিশ্চিত করতে নতুন কমিটি গঠন করা হোক।

চেম্বারকে সংস্কারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবারতন্ত্রের কবলে পড়ে চট্টগ্রাম চেম্বার দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেনি। তাই ভোটবিহীন নির্বাচিত বর্তমান চেম্বার পরিচালনা পর্ষদকে পদত্যাগ করতে হবে। চেম্বারকে সংস্কার করতে হবে। পরিবারতন্ত্রের কবলে পড়ে চিটাগাং চেম্বার ব্যবসায়ীরা কথা বলতে পারেনি। তাদের বলয়ের বাইরের কারোর চেম্বারের পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই এবার সম্মান থাকতে পদত্যাগ করুন। তা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

বিজিএপিএমইএ পরিচালক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাবেক দুই সভাপতি এম এ লতিফ ও মাহবুবুল আলম ১৭ বছর ধরে চট্টগ্রাম চেম্বারকে স্বৈরশাসনের আজ্ঞাবহ ও পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। এর ফলে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাই সাবেক দুই সভাপতির কবল থেকে চট্টগ্রাম চেম্বারকে মুক্ত করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বশীল চেম্বারে পরিণত করতে হবে।

সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য জামাল উদ্দিন বাবলু বলেন, পরিবারতন্ত্রের কারণে চেম্বারের অনেক কর্মচারীর চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিএনপি জামায়াত ট্যাগ দিয়ে অনেককে বিনা কারণে চেম্বার থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।

ফাল্গুনী ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল খান বলেন, যারা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আছেন তারাই চেম্বারের সদস্য হবেন এবং নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। মেম্বারশিপ সহজীকরণ করতে হবে। নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি ঘুরেফিরে চট্টগ্রাম চেম্বারে দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করে আসছেন। তিনি ওমর হাজ্জাজসহ পরিচালনা পর্ষদ নেতাদের অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানান।

বন্দর ট্রাক কাভার ভ্যান মালিক এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল বলেন, আজ এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আমরা নির্যাতিত অবহেলিত ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়েছি।পরিবারতন্ত্রের কবলে পড়ায় চট্টগ্রাম চেম্বার সাধারণ ব্যবসায়ীদের হয়ে কথা বলতে পারেনি। ব্যবসায়ীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত দীর্ঘদিন ধরে। ব্যবসায়ীরা যদি ঠিকভাবে ব্যবসা করতে না পারে, তাহলে তাদের পক্ষে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী শওকত আলী বলেন, চেম্বারের বর্তমান সদস্য তালিকা যাচাই করে সেখান থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তির পকেট ভোট ব্যাংক বিলুপ্ত করে একটি সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি করে দক্ষ নেতৃত্ব বাছাইয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন।

বিএনএনিউজ/নাবিদ/এইচমুন্নী

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ
প্রবাসীদের স্বজনদের জন্য শাহজালালে ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন দেশীয় জাত সংরক্ষণে বিএলআরআইকে ভূমিকা রাখতে হবে-মৎস্য উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর বাড়িতে নৌ উপদেষ্টা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল বৈষম্যহীন সমাজ গঠন--ভূমি উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন ময়মনসিংহে বাস উল্টে পুকুরে, নিহত ১, আহত ৮ রাবি ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে আমরণ অনশনে পাঁচ শিক্ষার্থী ধেয়ে আসছে দুই ঘূর্ণিঝড় চসিকে যে দুর্নীতি হয়েছে তার শ্বেতপত্র বের হওয়া উচিত : মেয়র