বিএনএ, ঢাকা: সাংবাদিককে গালিগালাজের ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরুকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, তাকে (টেকনাফের ইউএনও) ওএসডি করার নির্দেশ দিয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে গালাগালি করায় মোহাম্মদ কায়সার খসরুকে শোকজ করে জেলা প্রশাসন। রোববার (২৪ জুলাই) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শোকজ নোটিশ ইউএনও কায়সার খসরুর কাছে পাঠানো হয়। সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, শোকজ নোটিশে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কেন অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ করা হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
গত ২১ জুলাই ‘নিচু জায়গায় নির্মাণ করা উপহারের ঘর পানিতে ভাসছে’ শিরোনামে একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা হোয়াব্রাং এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সবগুলো নতুন ঘর পানিতে ভাসছে। ফলে সেখানে থাকা ২৭টি পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
প্রকাশিত সংবাদে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরায় বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তার অফিসিয়াল নম্বর থেকে সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে ফোন করেন। তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সাইদুলকে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে হিলডাউন সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের উদ্যোগে কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরু দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর। কোনো রং হেডেড ব্যক্তি ছাড়া এ ধরনের ভাষা কেউ ব্যবহার করতে পারেন না।তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আদালতকে তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিএনএ/এমএফ