‘আহারে একটু জিরান এইবার। ক্ষমা দেন। অন্যায়কে অন্যায় বলতে শিখেন! অপরাধীকে অপরাধী বলতে শিখেন’।-পরীমনি
চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েরা এসে যদি বিপদে পড়ে, তবে সেটা তাদেরই দোষ। কারণ তুমি বিপদে পড়ার মতো কাজ করো কেন? রাত ১২টার সময় তুমি ক্লাবে যাও কেন? দোষটা আসলে কার?
ঝন্টু বলেন, পরীমনির ঘটনায় ইন্ডাস্ট্রির লোকজন যে কথাবার্তা বলেছে, সেগুলো বলে কেন? আরও তো অনেক নায়িকা আছে। মাহি আছে, বুবলি আছে। কিন্তু পরীমনির কথা এভাবে আসলো কেন?
তিনি আরও বলেন, পরীমনি এখন কাঁদে, কেন? তুমি রাত ১২টায় ক্লাবে কী চাও? তুমি মেয়ে, তোমার ভয় নেই? তুমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতেই পারো গুন্ডা বদমাইশের। তুমি মাঝ রাতে ক্লাবে গিয়ে নাচবে কেন, ড্রিংক করবে কেন? এসময় শাবানা-ববিতাদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা কি ড্রিংক করেছে? তারা তো মদ খায়নি। পরীমনি এখন কেঁদে কেঁদে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায়। প্রধানমন্ত্রীর কি আর কাজ নেই?
ঝন্টু আরও বলেন, পরীমনি মাঝ রাতে ক্লাবে গিয়ে নাচানাচি করে ড্রিংক করে পড়ে আছে। এমন কথা শোনার পর আমাদের লজ্জা হয়। তার সম্পর্কে আমি কী বলবো? তার সম্পর্কে আরো অনেক কিছুই বলতে পারি কিন্তু এটা আমার ঘারেই পড়বে।একটা মেয়ে মদ খায় কেন? বয়স কত ২৫ বছরের মতো হবে। তার পক্ষে বলার মতো মুখ আমাদের নেই।
কেউ যদি প্রশ্ন করে, রাতে ক্লাবে গিয়ে নাচানাচি করে কেন, মদ খায় কেন, তবে আমি কী উত্তর দেবো। একজন ভালো মানুষ হয়ে থাকলে এটার উত্তর আমার কাছে নেই। উত্তর একটাই ‘সরি’।
আমি মাইয়া লোক কিন্তু লুতুপুতু মাইয়া টাইপ আচরণ করি নাই আপনার সাথে, ঘইটা গেল সমস্যা!
চিকন সুরে ভাইয়া ভাইয়া করিনাই আপনারে, বিশাল সমস্যা!
কাজের ফাঁকে আলগা রসের পিরিতের আলাপ করি নাই, ব্যাস এইতো সমস্যা!
কাজে মত প্রকাশের অধিকার দেখাইছি, তাতেই সমস্যা!
তারপরতো বিড়ি খাওয়া, মদ খাওয়া, প্রেম করা, বিদেশে ইচ্ছা মত ঘুরতে যাওয়া, শুয়োরের বাচ্চা-বালছাল বইলা গালিটালি দেওয়া, পিরিয়ড নিয়া কথা বলা এইগুলাতো আছেই! পাইছেন কই এইগুলা? আমিই তো দিছি।
টুপ কইরা কথায় কথায় চরিত্র হাতাইতে আসেন! বাসার মধ্যে মদের খালি বোতলের শোপিস দেইখা চরিত্র বুইঝা ফেলেন কেমনে বলেনতো!? বাসায় যে জায়নামাজ, কোরআন, নামাজের ঘর আছে সেইটা কেন দেখতে পাইলেন না আপনে!?