16 C
আবহাওয়া
৬:০৪ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, উপকূলে পানি বেড়েছে

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, উপকূলে পানি বেড়েছে

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, উপকূলে পানি বেড়েছে

বিএনএ ডেস্ক: দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

বাগেরহাট: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাগেরহাটের নদী-খালের পানি  বেড়ে গেছে। সব নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে এক থেকে দেড় ফুট বেড়েছে। ফলে আতংকে রয়েছেন মাছের ঘেরের মালিকরা।

বরগুনা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরগুনার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি বেড়ি বাঁধ তলিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বেশকিছু পরিবার।

ভোলা: ভোলায় ইয়াসের প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২ হাজার মানুষ। এছাড়া রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘেরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তলিয়ে গেছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীর নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার লালুয়ার ভাঙা বেড়ি বাঁধ দিয়ে জোয়ারে পানি প্রবেশ করে ৯টি গ্রাম পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই এলাকার প্রায় ৯ হাজার মানুষ। এছাড়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ মিটার বাজার এলাকায় বেড়িবাঁধ ছুটে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

শহরের জেলা পরিষদ এলাকায় শহররক্ষা বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন  ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।গতবছর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহীন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্লাবিত হয়েছে। কলাপাড়ায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, উপকূলে পানি বেড়েছে

এদিকে, ইয়াসের প্রভাবে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর আগ্রবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। অনেক স্থানে যানবাহন বিকল হয়ে গেছে।অনেকের বাসা-বাড়িতেও জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকায় বসবাসকারীরা। পাশাপাশি নগরীর বাকলিয়া এলাকার নিম্নাঞ্চলও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ