বিএনএ, ঢাকা : প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেমে ১ লাখ ৮২ হাজার জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম এন্ট্রি করা হলেও প্রায় ৩৫ হাজার জনের বেসামরিক গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না পাওয়ায় এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রথম ধাপে ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তালিকা প্রকাশে প্রাধান্য পেয়েছে ভারতীয় তালিকা, সে তালিকায় যাদের নাম আছে তারা বেইজ লাইন হিসেবে চিহ্নিত। সে তালিকার সবাই মুক্তিযোদ্ধা। ২য় বেইজ লাইন হিসাবে লাল মুক্তিবার্তা। তবে শর্ত ছিল কারো বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে শুনানী হবে। ৩য় বেইজ লাইন হলো বিভিন্ন সময় হওয়া গেজেট। ২০০২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত আইনকে মানা হয়নি। এ সময়ে ৩৮ হাজার জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বলা হয়। পরবর্তীতে প্রায় ৫০০ উপজেলায় তদন্ত হয়। যাচাই বাছাই শেষে প্রতিবেদন পাঠানো হয় মন্ত্রনালয়ে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানের নাম।
তালিকায় ঢাকা বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ৫৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৫৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ৮৯৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ১৫৮ জন, সিলেট বিভাগে ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
বিএনএনিউজ/ এইচ.এম।