বিএনএ ঝালকাঠি: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
বরিশাল বিভাগ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন,খবর পাওয়ার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন তারা। সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয়রা রয়েছেন। তবে, কুয়াশার কারণে উদ্ধার কাজে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। দগ্ধ ৭০ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মিজানুর রহমান জানান, ভর্তি রোগীদের মধ্যে সাত থেকে আটটি শিশু রয়েছে। আহতদের বেশিরভাগেরই শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। সে সময় লঞ্চ থেকে কিছু যাত্রী নামতে পেরেছেন বলে জানা গেছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী থাকলেও আগুনে ৭০ থেকে ৮০ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধ বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। তবে, এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।
লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী জানান, ভোর ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদরের ধানসিড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এমভি অভিযানের ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে। দ্রুতই তা পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়লে প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই নদীতে ঝাপ দেন। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। লঞ্চে শিশু, বৃদ্ধ, নারীসহ ৫শ’র বেশি যাত্রী ছিলেন বলে জানান তারা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি