বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে এস আলমের মালিকানাধীন ইসলামি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এসময় ৩ঘন্টা চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় হঠাৎ আন্দোলনে বিপাকে পড়ে চাকুরীজীবি ও শিক্ষার্থীরা। অনেকেই হেঁটে হেঁটে শাহ আমানত সেতু পার হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে যানচলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে মহাসড়কের কর্ণফুলী উপজেলার আখতারুজ্জামান মইজ্জারটেক এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা।
সকাল থেকে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের অবরোধের ফলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া যানবাহন কক্সবাজারে যেতে পারেনাই। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা গাড়িও চট্টগ্রাম নগরে প্রবেশ করতে পার নাই। এসময় বেশ কয়েকবার আন্দোলনরতদের সাথে শ্রমিক এবং স্থানীয়দের হাতাহাতি হয়। ।
আন্দোলনকারীরা জানান, “অনলাইনে আবেদন করে, সঠিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের চাকরি হয়েছে। এখন নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রশ্ন তুলে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। আমাদের প্রত্যেকের পরিবার রয়েছে। চট্টগ্রামের মানুষ দেশের সব-বিপদে আপদে এগিয়ে থাকে এখন সরকারের কি চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নাই! এবিষয়ে ডিসি এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ইসলামী ব্যাংকের ৩৫০, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৬৭২ জন ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬২ জনকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এসময় দাবি না মানলে বৃহৎ কর্মসূচীর হুশিয়ারী দেন তাঁরা।
এবিষয়ে কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন জানান, ” যানচলাচল শুরু হয়েছে, আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, হাসিনা সরকারের পদত্যাগ পর এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অপসারণ করা হয়।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ