24 C
আবহাওয়া
১১:৫৭ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৯৮ (পার্বত্য খাগড়াছড়ি)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৯৮ (পার্বত্য খাগড়াছড়ি)


বিএনএ,ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ।আজ থাকছে খাগড়াছড়ি আসনের হালচাল।

YouTube player

খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনটি পাহাড় ও বিস্তৃত উপত্যকায় ঘেরা ৯টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।। এটি জাতীয় সংসদের ২৯৮ তম আসন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৫ হাজার ৩৪৬ জন। তার মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ২৮৫ জন আর পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬২ হাজার ৬১। প্রায় অর্ধেক ভোটার উপজাতি। গত বারের চেয়ে ভোটার বেড়েছে ৭৩ হাজার ৬০৩ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়িতে ভোট কেন্দ্র ছিল ১৮৭টি। এবার ৯টি বেড়ে হয়েছে ১৯৬টি। এর মধ্যে ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ১৬৪টি। কেন্দ্র পরিবর্তন হয়েছে ৮টি।

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৪২ হাজার ১ শত ৯২ জন। ভোট প্রদান করেন ৮৩ হাজার ২ শত ৩৯ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কল্প রঞ্জন চাকমা বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩২ হাজার ৩ শত ৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আবদুল ওয়াদুদ। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ২৩ হাজার ৭ শত ৬৭ ভোট ।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি,প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল,অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।এই নির্বাচনে বিএনপির ওয়াদুদ ভূইয়া কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৫ শত ২২ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮ শত ৪৭ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কল্প রঞ্জন চাকমা বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৮ হাজার ৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির ওয়াদুদ ভূইয়া। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৪৮ হাজার ২৩ ভোট।

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৫ শত ৯৩ জন। নির্বাচনে বিএনপির ওয়াদুদ ভূইয়া বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৯৩ হাজার ৮ শত ৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের কল্প রঞ্জন চাকমা। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৫ হাজার ৩ শত ৯ ভোট।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪ শত ২৫ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৭ শত ৮১ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২২ হাজার ৭ শত ৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সমীরন দেওয়ান। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬৩ হাজার ৪৮ ভোট।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৯৯ হাজার ৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিকাশ খীসা। হাতি প্রতীকে তিনি পান ৬৭ হাজার ৭ শত ভোট।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৮ শত ৪৩ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫ শত ৮৯ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ,ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির শহিদুল ইসলাম ভূইয়া, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জব্বার গাজী, সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুতন কুমার চাকমা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪ শত ৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নুতন কুমার চাকমা। সিংহ প্রতীকে তিনি পান ৬০ হাজার ৩ শত ৪০ ভোট।

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদে বিএনপি এবং পঞ্চম,সপ্তম,নবম, দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম,১৯৯৬ সালের সপ্তম,২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর খাগড়াছড়ি আসনে পঞ্চম,সপ্তম,অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি,জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৩৪.৩৭% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮.৯০%, বিএনপি ২৮.৫৫%, জাতীয় পার্টি ১৫.৮৪%,স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৬.৭১% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৪.১৩% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪১.৮১%, বিএনপি ৩৪.৫৯%, জাতীয় পার্টি ৭.৫১%, জামায়াত ইসলামী ২.১৮% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৩.৯১% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৭.০৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯.৬৪%, ৪ দলীয় জোট ৫০.৩০%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২০.০৬% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮২.৬৭% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৪৩.৮৭%, ৪ দলীয় জোট ২২.৫৩%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩৩.৬০% ভোট পায়।

খাগড়াছড়ি আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবার মনোনয়ন চেয়েছেন। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ছাড়াও এই আসন থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চাইথোঅং মারমা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমীর দত্ত চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিকি রোয়াজা।

জাতীয় পাটি থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী), চট্টগ্রাম- ১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর), ১১ (বন্দর, পতেঙ্গা) আসন থেকেও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।

এই আসনে আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী পাহাড়ের অনিবন্ধিত আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউপিডিএফ প্রার্থী দিয়ে জয় পেলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আসছে ২০০১ সাল থেকে । এখনও পর্যন্ত দলটির প্রার্থীর নাম জানা যায়নি।

বিএনপি বর্তমান সরকার পতন আন্দোলনের অংশ হিসাবে লাগাতর হরতাল অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। যতদিন যাচ্ছে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া মামলায় সাজা হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এটা নিশ্চিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারেননি একই কারণে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে প্রার্থী হতে পারেন ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ভাতিজা ফরহাদ ভূঁইয়া অথবা কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য সমীরণ দেওয়ান।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য আসনটি একক কোন রাজনৈতিক দলের ঘাটি নয়। ১৯৭০ সালে তিন পার্বত্য জেলা মিলে ২টি আসন ছিল। সে সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালে আসনটিতে জয়লাভ করেন জাসদ (রব) এর উপেন্দ্র লাল চাকমা, ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির এ কে এম আলীম উল্লাহ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচন ও ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগের কল্প রঞ্জন চাকমা । ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ওয়াদুদ ভূইয়া এবং ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেননি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য হন।

এই আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে অসংখ্য গ্রুপ রয়েছে। তারা একে অন্যে বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতা বলয়ের বাহিরে থাকায় বিএনপির সাংগঠনিক তৎপরতায় এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তবে দলটির প্রচুর ভোট রয়েছে।জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম কাগজে কলমে।

প্রসঙ্গত, দেশের অন্যান্য জেলা থেকে পার্বত্য এলাকার রাজনৈতিক হিসাবটা ভিন্ন। বাস্তবতায় এখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ বেশ জটিল। সমতলে লড়াইটা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পার্বত্য এলাকায় তা নয়। এখানে আঞ্চলিক সংগঠনেরও বেশ প্রভাব রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে খাগড়াছড়িতে নির্বাচনের বড় ফ্যাক্টর হবে আঞ্চলিক সংগঠন প্রসিত বিকাশ খিসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। দলটির নিবন্ধন না থাকায় ইউপিডিএফ মনোনীত প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। সেকারণে কোন দলের প্রার্থী বিজয়ী হবেন, তা অনেকটা নির্ভর করবে আঞ্চলিক দলটির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থনের ওপর।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে জাতীয় সংসদের ২৯৮ তম সংসদীয় আসন (খাগরাছড়ি) আসনটিতে আওয়ামী লীগ- বিএনপি ও ইউপিডিএফ এর মধ্যে ত্রিমূখী লড়াই হবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে আওয়ামী লীগ ও ইউপিডিএফ এর মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনএ/ শাম্মী, রেহানা, ওজি, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ