বিএনএ, চট্টগ্রাম: জেলা কমিটিকে দেখানোর জন্য এবং স্থানীয়ভাবে নিজ বলয় ভারী করার জন্য আওয়ামীলীগ যুবলীগের অনুসারীদের নিয়ে মিটিং মিছিল করার অভিযোগ উঠেছে কর্ণফুলী উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব বাহারুল উদ্দিন বাহার এর বিরুদ্ধে । এমনকি কমিটি দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠন কোণঠাসা হওয়ার পর তারা এখন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আশ্রয়ে থাকার চেষ্টা করছে। কর্ণফুলী উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব বাহারুল উদ্দিন বাহারের সাথে একাধিক স্থানীয় বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের দেখা গিয়েছে।
দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় একটি উঠান বৈঠককে কেন্দ্র করে আলোচনা সমালোচনা চলছে কৃষকদলের এই নেতার বিরুদ্ধে।
যেখানে কর্ণফুলী উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব বাহারুল উদ্দিন বাহার নিজের ফেসবুকে লিখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে কর্ণফুলী উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব বাহারের সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুসার সঞ্চলনায় কৃষকদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়, এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক হাজী ফোরকান।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভূমিদস্যু প্রবাসী আওয়ামী লীগের অনুসারী হাজী ফোরকান যিনি ৫ আগস্টের আগে বিএনপির সাথে কোনো সম্পৃক্ততা ছিলো না। এর মধ্যে গত ২৩ সালের ১২ তারিখ ৯ই সেপ্টেম্বর গঠিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কর্ণফুলী উপজেলা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় । যেখানে শিকলবাহা ইউনিয়নের মোহাম্মদ ফোরকানকে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয় । কিন্তু প্রবাসী ফোরকানের নাম কোথাও ছিল না। খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে হাজী ফোরকান সহ তার অনুসারী সবাই আওয়ামী যুবলীগের অনুসারী, তার মধ্যে পাঞ্জাবী ব্যবসায়ীর ২৮ লক্ষ টাকা ছিনতাইকারী জেলখাটা আসামী মোঃ শাহজাহান, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার গিয়াসউদ্দিন,ও আলমগীর সহ অনেকে রয়েছে।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক কৃষকদল নেতা বলেন, হাজী ফোরকান নামের কোন নেতা আহ্বায়ক কমিটিতে ছিল না। আমরা খবর পাচ্ছি কর্ণফুলী উপজেলা যুগ্ম-আহবায়ক দাবী করে হাজী ফোরকানের অনুসারীদের সাথে মিটিং করে বিভিন্ন পদে আনা হবে বলে আশ্বাস দেন সদস্য সচিব বাহারুল উদ্দিন বাহার। এবং টাকা লেনদেনের মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে।
কিন্তুু একই নাম হাজী ফোরকান ওই আহ্বায়ক কমিটিতে ছিলোনা এটা সত্য। কৃষক দলের সদস্য সচিব বাহারুল উদ্দিন বাহার টাকার লেনদেন এর মাধ্যমে এসব আওয়ামী যুবলীগের কর্মীদের কৃষক দলে পদবীর আশ্বাস দিয়ে মিটিং মিছিলে নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন একাধিক কৃষকদলের নেতা কর্মীরা।
এসব বিষয়ে জানতে সদস্য সচিব বাহারুল উদ্দিন বাহারের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবদুল মান্নান বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে আমাদের। যিনি আমাদের দলের কমিটিতে ছিল তিনি আমাদের সাথে রাজনীতিতে জড়িত আছেন। হাজী ফোরকান আমাদের দলের সাথে কোন সময় রাজনীতিতে জড়িত ছিল না। আমাদের এটি বৃহৎ সংগঠন। আমরা এটি স্থানীয়ভাবে ঠিক করতে চেষ্টা করব, না হয় আমাদের মূল সংগঠন উপজেলা বিএনপি বিষয়টি অবগত করব তারা সিদ্ধান্ত দিবে আমাদের।
বিএনএনিউজ / নাবিদ/এইচমুন্নী