30 C
আবহাওয়া
১২:১৫ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাজধানীর মন্দির-মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ

রাজধানীর মন্দির-মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ

রাজধানীর মন্দির-মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ

বিএনএ ঢাকা: রাজধানীর ৫০ থানা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। পাশাপাশি কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে রাজধানীর কোনো মন্দির ও পূজামণ্ডপে যাতে হামলার ঘটনা না ঘটে, সে জন্য ডিএমপি’র পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।

রোববার (২৪ ‍অক্টোবর) ডিএমপি’র সদর দফতর মিলনায়তনে আয়োজিত অপরাধ বিষয়ক এক সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

সে সময় মোহা. শফিকুল ইসলাম জানান, ডিএমপি’র ৫০ থানা এলাকায় যেসব মন্দির বা পূজামণ্ডপ আছে, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে যাতে কোনো ধরনের হামলার ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বী নয়, সকল সম্প্রদায়ের লোকজন অংশগ্রহণ করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সুধীজনের সমাবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিভাগের উপকমিশনারকে সেখানে অংশ নিতে বলেন ডিএমপি কমিশনার। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারী বাড়ানোর জন্য ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার সময় টাকা নিলে বা কাউকে হয়রানি করলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ধরনের কিছু অভিযোগ  পাওয়া যাচ্ছে। এর সত্যতা প্রমাণিত হলে সেই পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করার কথাও বলেন তিনি।

পাশাপাশি জানমাল বাজি রেখে শহরের সম্মানিত নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন তিনি।

সকাল সাড়ে ১০টায় ওই সভা শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থেকে অপরাধ বিভাগের উপকমিশনার, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ ও ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের সহকারী কমিশনার থেকে অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিএমপির সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রাজধানীর মন্দির-মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ

এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সেপ্টেম্বর মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। সে সময় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগসহ ১০টি বিভাগকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে পল্লবী থানা।

ডিএমপি’র ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ হোসেন (চকবাজার জোন)।

পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বংশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম। পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্)দের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মুগদা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) আশীষ কুমার দেব। শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন খিলক্ষেত থানার এসআই মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও মিরপুর মডেল থানার এসআই সারোয়ার জাহান।

শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মতিঝিল থানার এএসআই মো. হেলাল উদ্দিন ও চকবাজার মডেল থানার এএসআই রুহুল আমিন।

শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হয়েছেন খিলক্ষেত থানার এসআই মো. আবুল কালাম আজাদ। অস্ত্র উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শিহাব উদ্দিন।

বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ হোসেন (চকবাজার জোন)।

মাদক উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মুগদা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) আশীষ কুমার দেব আর চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মো. আতাউল মাহমুদ খান।

৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হিসেবে পুরুস্কৃত হয়েছেন গুলশান জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুবুল হক সজীব। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মিরপুর জোনাল টিমের এডিসি মো. সাইফুল ইসলাম। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গুলশান জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুবুল হক সজীব। মাদকদ্র্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মিরপুর জোনাল টিমের এডিসি মো. সাইফুল ইসলাম। জঙ্গি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিমের সম্মান অর্জন করেছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও  মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের এডিসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। অজ্ঞান/মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মোহাম্মদ ফজলে এলাহী, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ধানমন্ডি জোনাল টিম।

৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ওয়ারী ট্রাফিক জোনের টিআই গোলাম মাওলা কবির। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট মো. মুহিবুল্লাহ, রামপুরা ট্রাফিক জোন ও সার্জেন্ট মো. আব্দুল কাদের, মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোন।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ