বিএনএ পটুয়াখালী: দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষার অবসান হয়েছে। রোববার (২৪ অক্টোবর) চালু হলো স্বপ্নের পায়রা সেতু। পায়রা নদীর ওপর এই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে পটুয়াখালীর সঙ্গে সারাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হলো। এর মধ্যদিয়ে এ অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দর পর্যন্ত সড়কপথ মুক্ত হলো। দক্ষিণাঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সেতুটি ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধনের পর দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় উৎসবের আমেজ বইছে। পাশাপাশি পায়রা সেতুতে উৎসুক মানুষের ঢল নেমেছে। দলে দলে পায়ে হেঁটে, মোটর সাইকেল বা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সেতু দেখতে যাচ্ছেন উৎসুক জনতা। তাদের চোখেমুখে বহু দিনের স্বপ্নপূরণের আনন্দ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই সেতু এলাকায় ভিড় করেন পটুয়াখালীসহ আশপাশের এলাকার মানুষ। উদ্বোধনের পরই দৃষ্টিনন্দন এই সেতুতে উঠে যান তারা। প্রথম আধাঘন্টা কোন টোল আদায় করা হয়নি।
চারলেন বিশিষ্ট সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৭০ মিটার। প্রস্থে ১৯ দশমিক সাত ছয় মিটার, রয়েছে ৩১টি পিয়ার ও দুটি অ্যাবাটমেন্ট। নদীর দুই প্রান্তে আছে মোট ১ হাজার ২৬৮ মিটার এপ্রোচ সড়ক, টোলপ্লাজা ও প্রশাসনিক ভবন। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার চারশ ৪৭ কোটি টাকা। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়।
পায়রা সেতুতে মোটরসাইকেলের জন্য টোল দিতে হবে ২০ টাকা। প্রাইভেট কার ৯৫ টাকা, বাস ৩৪০ টাকা এবং ট্রাকের ওজনভেদে ৭৫০ টাকা থেকে ৯৪০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে পটুয়াখালীতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকসহ পটুয়াখালী ও বরিশাল অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি