21 C
আবহাওয়া
১১:১৭ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পলিথিন নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পলিথিন নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পলিথিন নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বিএনএ, ঢাকা: পলিথিন নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, কাঁচাবাজারগুলো যাতে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার না করে সেজন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এটা নতুন করে নিষেধ করার কিছু নেই। এটা ২০০২ সাল থেকে আইন করে নিষিদ্ধ করা আছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার বণিক সমিতির অফিসে ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলে তিনি।

এর আগে উপদেষ্টা পলিথিন শপিং ব্যাগ, পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরী সামগ্রীর উপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টাউন হল কাঁচা বাজারে ক্লিন-আপ কার্যক্রম উদ্বোধন ও বাজারে পলিথিনের বিকল্প সামগ্রী বিতরণ, বাজারে বিদ্যমান পলিথিন ব্যাগসহ অন্যান্য পলিথিনজাত প্যাকেজিং সংগ্রহের জন্য বিন ও স্থায়ী নোটিশ বোর্ড স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে সুপারশপে এবং পহেলা নভেম্বর থেকে সব কাঁচাবাজারে পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করা হবে। একইসঙ্গে পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন যারা উৎপাদন করে সেখানে আমরা আমাদের অভিযান পরিচালনা শুরু করবো। সবাই পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেন। আমরাও বিকল্প সরবরাহের জন্য কাজ করছি।

তিনি আরো বলেন, সুপারশপগুলোতে প্লাস্টিক ও পলিপ্রপাইলিনের ব্যাগ আর ব্যবহার বন্ধ সরকারের একক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা হবে। এজন্য বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনসহ ২০ থেকে ২৫টি প্রতিষ্ঠান পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ সরবরাহ করবে। ইতোমধ্যে সুপারশপগুলো তাদের চাহিদা দিয়েছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাগ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সকলকে বুঝতে হবে, পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার ক্ষতিকর। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ নিয়ে আমাদের সতর্ক, সচেতন ও উদ্যোগী হওয়ার সময় পার হয়ে গেছে। আমরা বরং দেরিতে শুরু করলাম। বিভিন্ন সময়ে পলিথিন উৎপাদনকারী বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অভিযান চালানো হলেও মার্কেটে কখনো অভিযান চালানো হয়নি। ফলে মার্কেটগুলো দেদারসে পলিথিন এনেছে এবং পলিথিনে পণ্য দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সুপারশপের পাশাপাশি পহেলা নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে কার্যক্রম শুরু হবে। সে সময় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। দোকান-মালিক সমিতির নেতারাও আমাদের কথা দিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে তারা পলিথিনের পরিবর্তে পাট, কাপড় বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার শুরু করবেন।

বিএনএনিউজ/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ