বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আরোপ করা ৪ গুণ অতিরিক্ত স্টোর রেন্ট বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেপার ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি এহসান এ খান বলেন, ‘বন্দর ও আইসিডি থেকে পণ্য খালাসে বিভিন্ন সংস্থার সম্পৃক্ততা এবং ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় সময়ক্ষেপণের কারণে চারগুণ বিলম্ব মাশুল অযৌক্তিক। আমরা এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দীর্ঘ ছুটির মধ্যে এই বর্ধিত রেন্ট কার্যকর করা হয়েছে, যার ফলে সময়মতো পণ্য খালাস করা সম্ভব হয়নি। এই অতিরিক্ত মাশুল শিল্পোৎপাদন ও অভ্যন্তরীণ পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করবে। বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে রপ্তানি খাত যখন কঠিন সময় পার করছে, তখন এই সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী’ ছাড়া আর কিছুই বলা নেই।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে এনবিআর এবং কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর ধর্মঘট বা কলম বিরতি পণ্য খালাস বাধাগ্রস্ত করছে। তাই ব্যবসায়ীরা বিপুল অংকের লোকসানের শিকার হচ্ছেন।’
এ সময় বাংলাদেশ পেপার ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল বলেন, ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ব্যবসায়ীরা সময়মতো পণ্য খালাস করতে পারেন না। কাস্টমস কর্মকর্তাদের কলম বিরতির কারণে শুল্কায়ন বাধাগ্রস্ত হলেও পোর্ট ডেমারেজের বোঝা ব্যবসায়ীদের উপর চাপানো হচ্ছে। তাই এসব বিষয় বিবেচনা করে চারগুণ স্টোর রেন্ট বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এ সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, পরিচালক মো. আরিফ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মো. কুতুব উদ্দিন, চট্টগ্রাম কাগজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক আহম্মদ সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ