বিএনএ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে আলাপ-আলোচনা করায় দেশে ফেনসিডিল আসা কমেছে। তবে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা ও আইস আসা বেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বলেন, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে আমরা কাঙ্খিত সেবা দিতে পারছি না। কিছু সীমাবন্ধতা রয়েছে। সাইকিয়াটিস্ট নেই, এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ সে ধরনের চিকিৎসক নেই। সরকারিভাবে আমরা তেজগাঁওয়ে যেটা চালাচ্ছি সেখানেও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। তবে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা চলছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৩টি উপায়ে মাদকাসক্তি নিরাময় ও মাদক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও হার্ম রিডাকশন। বলেন, সীমান্ত এলাকা অনেকগুলো এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে। সে কারণে বিভিন্নভাবে সীমান্ত দিয়ে মাদক ঢুকে পড়ছে। যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে মাদক আসতে না পারে। কিন্তু ভয়ঙ্কর মাদক বেড়েছে সেটা হলো ইয়াবা। এর সঙ্গে আইস সংযুক্ত হয়েছে, যেটা আরও ভয়ঙ্কর। এগুলো আমাদের যুব সমাজের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ৩৬২ নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সবগুলো মানসম্পন্ন নয়। আমাদের এক পুলিশ সদস্য হাসপাতালে মারা গেছেন। এই জায়গায় আমাদের আরও এগুতে হবে। কারণ আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক যেটা বলেছেন, আমি মনে করি তার চেয়ে অনেক বেশি। উনি কম করে বলেছেন, ৩৬ লাখের কথা বলেছেন। আমাদের কারাগারে বন্দি ৬০ শতাংশ মাদক চোরাকারবারি বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ঢাকা বিভাগে আসক্তের সংখ্যা বেশি।
বিএনএ/এ আর