বিএনএ, বশেমুরবিপ্রবি: করোনা মহামারি প্রতিরোধের অংশ হিসেবে প্রায় ১৪ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর আগে ১৭ মে হল এবং ২৪ মে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এইসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছুই চলছে প্রায় স্বাভাবিক গতিতে। এমন পরিস্থিতিতে অনতিবিলম্বে হল-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে অনতিবিলম্বে হল বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল রাজু বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা হতাশাগ্রস্থ , তারচেয়েও বেশি হতাশাগ্রস্থ আমাদের মা-বাবা। তারা আমাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিল তিল করে বড় করেছেন। এখন যেখানে আমরা তাদের মুখ উজ্জ্বল করবো সেখানে বেকার হয়ে ঘুরতেছি। আমরা আর অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা নামক প্রহসন চাই না, সরাসরি ক্লাসে উপস্থিত হতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন।”
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শিকদার মাহবুব বলেন, “দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যতিত সবকিছুই চলছে। মার্কেটগুলোতে গেলে পা ফেলার জায়গা পাওয়া যায় না। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বলা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষার্থী এই করোনা মহামারির সময়েও সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করেছে, সচেতনতা তৈরি করেছে। এসকল শিক্ষার্থীরা নিজেরা সচেতন বলেই অন্যকে সচেতন করতে পারছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে না এমন ভাবনা অযৌক্তিক। একারণে শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যবান সময় আর কেড়ে না নিয়ে অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করার অধিকার রয়েছে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ না এলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হতো। তবে আশা করছি সরকার দ্রুতই শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।”
বিএনএনিউজ/ফাহীসুল,মনির