24 C
আবহাওয়া
৯:২৪ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আজ কামিনী কুমার ঘোষের ৫৩তম প্রয়াণ দিবস

আজ কামিনী কুমার ঘোষের ৫৩তম প্রয়াণ দিবস

বুদ্ধিজীবি রায়সাহেব কামিনী কুমার ঘোষ

চট্টগ্রাম: আজ ২৪ শে এপ্রিল ২০২৪। দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বুদ্ধিজীবী রায়সাহেব কামিনী কুমার ঘোষের ৫৩তম প্রয়াণ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে প্রাণ দিয়েছিলেন রায়সাহেব কামিনী কুমার ঘোষসহ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা গ্রামের আরো অনেকে।

সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত

 

• জন্ম : কামিনীকুমার ঘোষ ১৮৮৮ সালের ১লা জানুয়ারি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন- চৈতন্য চরণ ঘোষ আর মাতা- কমলা ঘোষ।

• ১৯০৬ সালে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রাস পাস এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আই.এ পাস।

• ১৯০৮ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতা গমন। স্বনামধন্য প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গণিতে বিএ (অনার্স) করেছেন ১৯১০ সালে।

• ১৯১২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বৃত্তিসহ প্রথম বিভাগে এম.এ পাস। একই সাথে আইনশাস্ত্রে বৃত্তিসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।

• দেশে ফিরে আসেন ১৯১৩ সালে। চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। এবং একই বছরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

• ১৯২১ সালে তিনি মহাত্মা গান্ধীর ভারত শাসন আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি আইন পেশা ছেড়ে দেন এবং আন্দোলনে সর্বাত্মক ভাবে জড়িয়ে যান।

• ১৯২২ সালে তিনি (কাঞ্চনা, ডলুকূল, আমিলাইষ) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন। তিনি সে সময়ে সাতকানিয়া-বাঁশখালি এডুকেশন সোসাইটি গঠন করেন।

• ১৯২৯ সালে তিনি বাল্যবন্ধু ললিত মোহন চৌধুরী ও স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে “আমিলাইষ কাঞ্চনা বঙ্গ চন্দ্র ঘোষ ইন্সটিটিউট” প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেছিলেন তার কাকা বঙ্গ চন্দ্র।

• ১৯৪৮ সালে সাতকানিয়া কলেজ (সাতকানিয়া সরকারি কলেজ) প্রতিষ্ঠার অন্যতম ছিলেন তিনি, এবং প্রথম অবৈতনিক অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

• ১৯৬৯ সালে কাঞ্চনায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমিলাইষ কাঞ্চনা বঙ্গ চন্দ্র ঘোষ ইন্সটিটিউটকে সম্প্রসারিত করে নতুন ভুবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।

তিনি সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতিরও সাবেক সভাপতি ছিলেন ।

তিনি বিয়ে করেছিলেন বাঁশখালী উপজেলার পালেগ্রাম চৌধুরীবাড়ীর কন্যা শৈল বালাকে। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি ১১ সন্তানের জনক ছিলেন।

বুদ্ধিজীবী রায়সাহেব কামিনী কুমার ঘোষ ছিলেন একজন স্বদেশ প্রেমিক। অনেকে নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বলেছিলেন । তিনি যাননি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ২৪ই এপ্রিল শনিবার বেলা ১২টায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর একদল সদস্য দোহাজারী ক্যাম্প থেকে কাঞ্চনা গ্রামে আক্রমণ চালায়। হানাদার বাহিনী কামিনী কুমারের বাড়িতে আক্রমণ করলে বাড়ীর লোকজন বৃদ্ধ কামিনী কুমারকে বাড়ির শৌচাগারে লুকিয়ে রাখে, পরবর্তীতে কামিনীকুমার শৌচাগার থেকে বেড়িয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে এক রাজাকার তাকে শনাক্ত করে এবং পরে হানাদার বাহিনী গুলি করে তাকে হত্যা করে।

সূত্র : উইকিপিডিয়া, সৈয়দ মাহফুজ উন নবী খোকন, সভাপতি সাতকানিয়া প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সংবাদপত্র।

এসএমএনকে, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ