বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদ ও মানবিক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবিএম ফারাজ করিম চৌধুরী। বাবা চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও রেলপথ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। দাদা একেএম ফজলুল কবির চৌধুরী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা ও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এক কথায় ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ফারাজ। এই পরিবারের সদস্যদের বিয়ে মানে ঝাকজমক, ধুমধাম ও বিশাল আয়োজন । কিন্তু ফারাজ করিম চৌধুরী তার ব্যাতিক্রম। সামাজিক দায়বব্ধতা ও কন্যা দায়গ্রস্থ পিতাকে শরিয়া বিরোধী হাজার হাজার লোকজনকে ভূরিভোজে বাধ্য করা এবং তথাকথিত যৌতুক প্রথা ভাঙ্গতে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশান-১ সংলগ্ন মহাখালীর মসজিদ-এ গাউসুল আজমে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী খুব সাধারণ আয়োজনে আকদ করেন ফারাজ করিম। মসজিদে এই সময় মহিলাদের নামাজের স্থানে উপস্থিত ছিলেন কনে আফিফা আলম। উপস্থিত বর ও কনে পক্ষের স্বজনরা খেজুর খেয়ে বর-কনের জন্য দোয়া করেন।
কনে আফিফা আলম জন্মগ্রহণ করেন রংপুরের মিঠাপুকুরে সাধারণ একটি ব্যবসায়ি পরিবারে । রাজধানী ঢাকায় ‘ও লেভেল’ এবং ‘এ লেভেল’ সম্পন্ন করে তিনি এখন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার বিষয়ে পড়ালেখা করছেন আফিফা আলম।
বিয়ের বিষয়ে ফারাজ করিম চৌধুরী নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মসজিদে শরিয়াহ অনুযায়ী খুবই সাধারণ আয়োজনে আকদের মাধ্যমে বিয়ে করবেন। কথা রাখলেন, তরুন মানবিক রাজনৈতিক নেতা খ্যাত ফারাজ করিম চৌধুরী।
নিজে এবং আত্মীয় স্বজনরা আরবের খেজুর খেয়ে বিয়ে করলেও এলাকার মানুষের প্রত্যাশার প্রতি খেয়াল রেখেছেন ফারাজ। আগামী পহেলা মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় বউ নিয়ে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামের বক্স আলী চৌধুরী বাড়ি যাবেন তিনি। ওই দিনেই চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি মেজবানের মাধ্যমে এলাকার লোকজনকে আপ্যায়ন করাবেন। ফারাজ তার ফেসবুকের মাধ্যমে তার গ্রামের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় অনিয়ম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী। দেশজুড়ে বিভিন্ন দুর্যোগকালীন মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা অর্জন করেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী। বিশেষ করে সিলেটে ভয়াবহ বন্যার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে খাবার, ঘর নির্মাণ, এমনকি শত শত গরু জবাই করে কোরবানির মাংস বিতরণ ছিল বেশ আলোচিত। ১৯৯২ সালে জন্ম নেয়া এই তরুণ প্রমাণ করেছেন মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।
এবার যুগ যুগ ধরে চলে আসা অসম ইসলাম ধর্মের শরীয়া বিরোধী তথাকথিত সামাজিক ব্যাধি থেকে তরুন প্রজন্মকে মুক্ত করতে খেজুর খেয়ে বিয়ে করে আলোর পথ দেখালেন মানবতার এই ফেরিওয়ালা।
বিএনএ/ সৈয়দ সাকিব, ওজি/এইচমুন্নী
