27 C
আবহাওয়া
৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভিসির জন্য আনা খাবার-ওষুধ ফিরিয়ে দিলেন আন্দোলনকারীরা

ভিসির জন্য আনা খাবার-ওষুধ ফিরিয়ে দিলেন আন্দোলনকারীরা


বিএনএ, শাবিপ্রবি: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে টানা ১১ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার বিকেল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচিও পালন করছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নিতে আসেন প্রক্টরিয়াল টিম। এ ছাড়াও অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর জন্যও চেষ্টা করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে উপাচার্যের বাসার জন্য খাবার নিয়ে বাসভবনে প্রবেশ করতে যান প্রক্টরিয়াল টিম। শিক্ষার্থীদের মানবশিকল ভেদ করে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয় তারা। বেশ কিছু শিক্ষার্থীতে মানবশিকলের ভেতর শুয়ে পড়তে দেখা যায়।

প্রক্টর ড. মো. আলমগীর কবীর, সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল ও বঙ্গবন্ধু হলের সহকারী প্রভোস্ট মনিরুজ্জামান সোহাগ মানবিক দিক বিবেচনা করে বারবার আকুতি জানালেও তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে প্রক্টর আলমগীর কবীর বলেন, বাসভবনে উপাচার্যের সঙ্গে আরও কয়েকজন শিক্ষক এবং কর্মকর্তা রয়েছেন। সেখানে গতকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। পানি ও খাবার সংকট রয়েছে। তারা কষ্ট করছেন। এছাড়াও উপাচার্য অসুস্থ। আমরা জানি না তার কী অবস্থা। তার জন্য আমরা ওষুধ নিয়ে যেতে চাই। সেখানে একজন শিক্ষকও অসুস্থ। আমরা তাকে দেখতে যেতে চাই, যেন প্রয়োজনে আমরা তার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারি।

এদিকে রোববার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন শিক্ষার্থীরা। এখন পর্যন্ত বাসভবনটি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায়ই রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে। এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। ১৯ জানুয়ারি বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন ২৩ জন শিক্ষার্থী।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ