35 C
আবহাওয়া
২:১৯ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পিকে হালদারের আরও দুই সহযোগী গ্রেফতার

পিকে হালদারের আরও দুই সহযোগী গ্রেফতার

পিকে হালদারের আরও দুই সহযোগী গ্রেফতার

বিএনএ,ঢাকা:অর্থ আত্মসাতে প্রশান্ত কুমার(পিকে)হালদারকে সহযোগিতার অভিযোগে পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল নন্দী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেল ৫টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও পরিচালক প্রণব ভট্টাচার্য জানান,পিপলস লিজিংয়ের সাবেক কর্ণধার কানাডায় পলাতক পি কে হালদারকে অর্থ আত্মসাৎ বা পাচারে সহযোগিতা করেছেন উজ্জ্বল নন্দী ও রাশেদুল হক। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, রাশেদুল ও উজ্জল কুমার নন্দী পিকে হালদারের দীর্ঘদিনের পরিচিত এবং সহকর্মী ছিলেন। ২০১০ সালে পিকে হালদার রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি থাকাকালিন তখন রাশেদুল হক রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ডিএমডি ছিলেন।পিকে হালদার যখন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন তখন রাশেদুল হক ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি হিসেবে ২০১৫ সালে যোগদান করেন।এমডি হিসেবে যোগ দিয়েই কোনো নিয়ম না মেনেই প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন, যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো মর্টগেজ ছিল না। এভাবেই লিজিং কোম্পানিটিকে পথে বসায় রাশেদুল।

আর পি কে হালদারের ডাকে সারা দিয়ে ২০১৩ সালে প্রথমে এফএএফ ফাইন্যান্স ও পরে পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন উজ্জ্বল কুমার নন্দী।পিকে হালদারের নিয়ন্ত্রণাধীন পরিবারের প্রতিষ্ঠান নর্দান জুট, রহমান কেমিক্যাল, ক্লিউইস্টন ফুডের চেয়ারম্যানের পদ দেন পি কে হালদার।এর মধ্যে নর্দান জুটের দায়িত্বে ছিলেন পিকে হালদারের ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার।এসব প্রতিষ্ঠানের নামে পিপলস লিজিং থেকে পিকে হালদার একাই দু হাজার কোটি টাকা অর্থ ছাড় করিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানায দুদক।

পিকে হালদারের ১০ হাজার দু’শ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনার তদন্তে দেখা যায়, এর মধ্যে পিকে হালদার একাই পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি থেকে দু’হাজার কোটি টাকা এবং  ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেন।যার পেছনে রয়েছে রিলায়েন্স ফাইনান্সের রাশেদুল হক এবং পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জল কুমার নন্দী।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) পিকে হালদারের মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা ও প্রধান সহযোগী সুকুমার মৃধাকে গ্রেফতার করে দুদক।গত সোমবার দুদকের জব্দ করা ৭৬৯ কোটি টাকার বিষয়ে পিকে হালদারের সহযোগী বাসুদেব ব্যানার্জি ও পাপিয়া ব্যানার্জিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা থাকলেও দুদকে হাজির হননি কেউ।

উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক পিকে হালদারে বিরুদ্ধে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে।বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পি কে হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে লোপাট করেছেন অন্তত তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা। তিনি প্রথমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পরে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এমন আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।

অভিযোগ রয়েছে, ওই সব প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন এবং নতুন আরও কিছু কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেছেন পি কে হালদার। নিজেও বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।তবে মামলা করার আগেই লাপাত্তা হন পি কে হালদার।

লিজিং কোম্পানির অর্থ লোপাটকারী পিকে হালদার কানাডার টরেন্টোতে বিলাসী জীবনযাবন করছেন।সেখানে  পাচার করা অর্থ দিয়ে বাড়ি, গাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন তিনি।ওই দেশ থেকে মাঝেমধ্যে দুবাই ও ভারতে আসেন।কানাডায় পিঅ্যান্ডএল হাল হোল্ডিং ইনক নামে কোম্পানি খোলা হয় ২০১৪ সালে।যার পরিচালক পিকে হালদার, প্রিতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ