বিএনএ,ঢাকা:করোনা টিকা নিয়ে জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া সন্দেহ দূর করার দায়িত্ব সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।উন্নত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মতো বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আগে টিকা গ্রহণ করে সংশয় দূর করার আহ্বান জানান তিনি।
রোববার(২৪ জানুয়ারি)জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, টিকার প্রতি আস্থা এনে বিনামূল্যে দিতে হবে।সাধারণ মানুষ কীভাবে টিকা পাবে,সেই রোডম্যাপ দেয়া হয়নি।করোনা পরীক্ষার কিটের মত টিকা নিয়েও ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতি করছে।করোনার শুরু থেকে এখন টিকা পর্যন্ত তারা সবকিছু নিয়ে নিজেদের পকেট ভরার কাজ করেছে।সরকার মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করছে।করোনাকালীন প্রণোদনার সব টাকা সরকারের লোকজন লোপাট করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন,২০১৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে,বর্তমান সরকার সংবিধানকে নিজেদের মতো করে পরিবর্তন করেছে।এ জন্য তাদেরকে অবশ্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য বিচার হবে।মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার সবচেয়ে বড় দুর্নীতি করেছে।নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতি নিয়ে বিশিষ্টজনরা কথা বলেছেন,মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা সবচেয়ে বড় দুর্নীতি করেছে।
তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে বারবার হত্যা করেছে।দেশে বর্তমানে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার দরকার।যারা জনগণের ভাষা বোঝে না, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি ছিল এ ভূখণ্ডের রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক মাইলফলক।দেশ মাতৃকার টানে সেদিন দাবি আদায়ে সবাই রাস্তায় নেমে এসেছিল।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন সবাই করেছিল।এখন এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার সময় এসেছে।গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানোর আহ্বানও জানান মির্জা ফখরুল।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে ও দলের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি,বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি