বিশ্ব ডেস্ক: এবার মধ্য গাজা এলাকা খালি করছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।এরআগে উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক ধংসাত্বক হামলার কারণে মধ্য গাজা ও দক্ষিণ গাজায় আশ্রয় নেয় গাজার অধিবাসী ফিলিস্তিনিরা।
শনিবার(২৩ ডিসেম্বর) আল জাজিরা জানায়, সামরিক বাহিনী পরিবারগুলিকে তাদের “নিরাপত্তার” জন্য দক্ষিণ গাজার দেইর এল-বালাহ, বুরেজ এবং মধ্য গাজার নুসিরাত এলাকা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এ সব এলাকায় ২০থেকে ২৩ মানুষের বসবাস ছিল।
খুবসম্ভবত মধ্য গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধ সম্প্রসারণ, ইসরায়েলিদের জন্য নতুন বসতি স্থাপনের কোন উদ্যেগ নিতে এলাকা খালি করার এই উদ্যেগ নিয়েছে।
ফিলিস্তিন-গাজা যুদ্ধ শুরু হবার পর হতে দখলদার ইসরায়েলী বাহিনী গাজার বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে ইসরায়েলী(ইহুদি) বসতি স্থাপনের নীল নকশা প্রণয়ন করছে।
ইউএনআরডব্লিউএ বিষয়ক পরিচালক থমাস হোয়াইট বলেছেন, “চলমান সামরিক অভিযানের সম্প্রসারণের জন্য” মধ্য গাজার লোকদের দেইর এল-বালাহতে চলে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলের সর্বশেষ সরিয়ে নেওয়ার আদেশের কারণে ১লাখ ৫০হাজার এরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজায় মারাত্মক বোমাবর্ষণ অব্যাহত
ইসরাইল গাজায় মারাত্মক বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। নুসিরাত শরণার্থী শিবির এবং খান ইউনিসে শনিবার সর্বশেষ হামলার খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় বাড়ানোর জন্য রেজুলেশন পাস করেছে, কিন্তু মানবিক গোষ্ঠীগুলো বলেছে যে যুদ্ধবিরতির দাবির কম কিছু “যথেষ্ট ভালো নয়”।
ডব্লিউএইচও প্রধান সতর্কতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে “গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে” কারণ সংঘাত খাদ্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহের প্রবেশে বাধা দেয়।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস অনুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২০হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ১১৪০ এ দাঁড়িয়েছে।
বিএনএ,এসজিএন