36 C
আবহাওয়া
৭:৫৫ অপরাহ্ণ - মে ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » এইচএসসি’র প্রশ্নে বিতর্কিত ইস্যু; শাস্তির মুখে ৫ শিক্ষক

এইচএসসি’র প্রশ্নে বিতর্কিত ইস্যু; শাস্তির মুখে ৫ শিক্ষক

এইচএসসি'র প্রশ্নে বিতর্কিত ইস্যু; শাস্তির মুখে ৫ শিক্ষক

বিএনএ ডেস্ক: এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিতর্কিত ‘সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক’ প্রশ্ন রাখার দায়ে পাঁচ শিক্ষককে শাস্তি দিয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। পাবলিক পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে তাদের বিরত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্রের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ শাস্তির নির্দেশ দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসির ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষকরা প্রণয়ন ও পরিশোধন করেছেন। যশোর শিক্ষা বোর্ড গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রশ্নপত্রটি সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নের নির্দেশনার পরিপন্থি হয়েছে। এ কারণে পাঁচ শিক্ষককে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষা-সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষা-সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে ওই শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করা হবে না।

মাধব চন্দ্র জানান, বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত যত দায়িত্ব আছে, তা থেকে তাদের বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন প্রণয়ন, পরীক্ষক হওয়া, প্রধান পরীক্ষক হওয়া, পরিশোধন করা এই জাতীয় কাজ থেকে তাদের বিরত রাখা হলো।

শিক্ষাবোর্ড থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আপাতত এ ব্যবস্থা নিয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর থেকেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শ্রেণিকক্ষে তারা পাঠদান করাতে পারবেন কি না, বা তাদের অন্যান্য সুবিধা বাতিল করা হবে কি না, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেবে মাউশি।

গত ৬ নভেম্বর এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়। ঢাকা বোর্ডের ‘কাসালাং’সেটের নাটক সিরাজউদ্দৌলা অংশের ১১ নম্বর প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের বিষয়টি উঠে আসে।

এ ঘটনায় জড়িত পাঁচ শিক্ষককে চিহ্নিত করা হয়। ১৭ নভেম্বর তাদের দোষী সাব্যস্ত করে মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।

বাংলা প্রথম পত্রের বিতর্কিত প্রশ্নটি করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। আর প্রশ্নপত্রটি পরিশোধনের (মডারেশন) দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ