বিএনএ,ঢাকা : রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধক।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ আসামি ইফতেখার ফারদিন দিহানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ৭ জানুয়ারি কলাবাগান থানা এলাকায় ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হন, পরে তিনি মারা যান।
ঘটনার রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা মো. আল আমিন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে কলাবাগান থানা পুলিশ। পরে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে তিনি ও তার স্ত্রী কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। বেলা সাড়ে ১১টায় ওই শিক্ষার্থী কোচিংয়ের পেপার আনতে বাইরে যাচ্ছে বলে ফোনে তার মাকে জানায়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ওই শিক্ষার্থী বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
দুপুরে দিহান ওই শিক্ষার্থীর মাকে ফোন দিয়ে জানায়, সে তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে ওই শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি শুনে দুপুর ২টার আগেই তার মা হাসপাতালে আসেন এবং চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর বাবা এজাহারে অভিযোগ করেন, তারা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছেন, তার মেয়েকে প্রেমের প্রলোভনে ধর্ষণের উদ্দেশে ঘটনার দিন দুপুর ১২টার দিকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায় দিহান। পরে সে ফাঁকা বাসায় তাকে ধর্ষণ করে।
এতে রক্তক্ষরণ হয়ে মেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দিহান তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ইফতেখার ফারদিন দিহান গত ৮ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি নেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বর্তমানে দিহান কারাগারে রয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪.কম/শহীদুল/এনএএম