বিএনএ, ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) চিঠি দিয়েছে ৪৭তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে এই বিসিএসে।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মতিউর রহমান বুধবার এক বার্তায় বলেন, বিভিন্ন ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী মোট ৩ হাজার ৪৬০টি শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে।
৪৭তম বিসিএস হবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারি চাকরিতে নিয়োগের প্রথম বড় পরীক্ষা, যার অপেক্ষায় আছেন বহু চাকরিপ্রত্যাশী।
সর্বশেষ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছিল এ বছরের এপ্রিলে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। তাতে ১০ হাজার ৬৩৮ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হলেও লিখিত পরীক্ষা আর হয়নি।
পিএসসির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি বাতিলের দাবি জানান অনেকে।
একটি চক্র প্রায় এক যুগ ধরে পিএসসির অধীনে বিসিএসসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত বলে গত জুলাইয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে। সেখান ওই চক্রের ছয়জনের ছবিও প্রকাশ করা হয়।
এদের মধ্যে পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার পরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিভিন্ন ছবি ফেসবুকে ঘুরতে থাকে।
পরে আবেদ আলীসহ পিএসসির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে পল্টন থানায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের পর পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে মো. সোহরাব হোসাইনসহ কমিশন।
তবে গত জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ পদে পরিবর্তনের মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনসহ কমিশনের সদস্যরা গত ৮ অক্টোবর পদত্যাগ করেন। এর পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম পিএসসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান চারজন।
সবশেষ ৪৬তম বিসিএসে শূন্যপদ ছিল ৩ হাজার ১০০টি। তার আগে ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯টি, ৪৪তম বিসিএসে ১ হাজার ৭১০টি, ৪৩তম বিসিএসে ১ হাজার ৮১৪, ৪১তম বিসিএসে ২ হাজার ৫২০, ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯, ৩৮তম বিসিএসে ২ হাজার ২৪, ৩৭তম বিসিএসে ১ হাজার ২২৬, ৩৬তম বিসিএসে ২ হাজার ১৮০টি, ৩৫তম বিসিএসে ১ হাজার ৮০৩টি এবং ৩৪তম বিসিএসে শূন্যপদ ছিল ২ হাজার ১৫৯টি।
তবে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে প্রায় ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে সাধারণ বিসিএসের সঙ্গে সেটিকে তুলনা করা হয় না।
বিএনএনিউজ/ বিএম