বিএনএ, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে মা ও শিশু সহায়তা ভাতার অনলাইন আবেদনে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুস্মিতা সাহা দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদে তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চেয়ারম্যান আবুল কালামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
জানা গেছে, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘মা ও শিশু সহায়তা’ (মাতৃত্বকালীন ভাতা) কার্ডের অনলাইন আবেদনে সরকার নির্ধারিত ফি ৪০ টাকার পরিবর্তে জনপ্রতি অতিরিক্ত ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে ওই ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ইসরাফিল হুসাইন এ টাকা আদায় করেন বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে খবরের সত্যতা যাচাইয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পান।
অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই, তিনি এখনো কোন নোটিশ পাননি।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিরোজা খাতুন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে চেয়ারম্যানকে উপস্থিত থেকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা জানান, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন একাধিক ভুক্তভোগী। এরপর তাকে কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আতিক রহমান,বিএম/ হাসনাহেনা