বিএনএ ডেস্ক: চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দুই জন চলচ্চিত্র প্রযোজক। বাংলাদেশ সরকারের অনুদানের অর্থে নির্মিত ‘আশীর্বাদ’ ছবির প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস ও ‘ও মাই লাভ’ ছবির প্রযোজক জাহাঙ্গীর শিকদার ইতোমধ্যেই আইনজীবির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি মাহিয়া মাহি তার ফেইজবুকে লাইভে ‘আশীর্বাদ’ ছবির প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস কে নিয়ে কিছু ত্রুটি প্রকাশ্যে আনেন। তার পাল্টা জবাবে মাহিয়া মাহির কিছু ত্রুটি প্রকাশ্যে আনেন আশীর্বাদ ছবির প্রযোজক। এর জবাব দিতে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহিয়া মাহি বলেন, ছবিটির প্রযোজক সরকার থেকে ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেলেও খরচ করেছেন বড় জোর ২৫ লাখ টাকা। ছবিটির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বলেন, তার হিসেবে ছবিটি নির্মাণে প্রযোজক ব্যয় করেছেন ২০ লাখ টাকার মতো।
যদি ছবিটির নির্মাণে ব্যয় ২০ বা ২৫ লাখ টাকা হয়ে থাকে, তাহলে প্রশ্ন আসে ছবিটিতে কি সবাই বিনা পয়সায় কাজ করেছেন? প্রযোজক সূত্রে জানা গেছে, আশীর্বাদ ছবিতে মাহি পারিশ্রমিক বাবদ নিয়েছেন নগদ পাঁচ লাখ টাকা। পারিশ্রমিকসহ তার জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে নয় লাখ টাকা। যদি পরিচালকের কথা সঠিক হয়ে থাকে তাহলে অবশিষ্ট থাকে মাত্র সাড়ে ১০ লাখ টাকা। এই টাকা দিয়ে কি অন্যান্য কলা-কুশলী, ডাবিং, সম্পাদনা এবং শুটিং ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব? মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বা মাহিয়া মাহি কিভাবে এ বিষয়টির জবাব দেবেন। প্রযোজক সূত্রে জানা গেছে, ছবিটিতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে বড় অংকের টাকাই।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ছবি প্রযোজনার ব্যয় নিয়ে মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে প্রযোজককে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আশীর্বাদ’ ছবির প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস এই মামলা করবেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, একাধিকবার গল্প শোনার পর তিনি ‘ও মাই লাভ’ ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। লোকেশন ইউনিট চলে যাওয়ার পর এবং তার শুটিংয়ের আগের দিন তিনি পরিচালককে গল্প পরিবর্তন ও দ্বিতীয় নায়িকাকে ছবি থেকে বাদ দিতে বলেন। পরিচালক তাতে সম্মত না হলে তিনি ছবিটিতে কাজ করার অপারগতা প্রকাশ করেন। ‘ও মাই লাভ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য মাহিয়া মাহি নগদ ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক বাবদ এবং এক লাখ টাকা পোশাক বাবদ নিয়েছিলেন। কিন্তু শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের মধ্যস্থতায় তিনি কয়েক দফায় পাঁচ লাখ টাকা ফেরত দিলেও ছয় লাখ টাকা ফেরত দেননি। প্রযোজক জাহাঙ্গীর শিকদার এই ছয় লাখ টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
যদি মাহিয়া মাহি ছবি প্রতি ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। তবে তিনি কত টাকা আয়কর দিয়ে থাকেন, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
বিএনএ/ রিপন রহমান খান