বিএনএ, ঢাকা : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বর্তমান সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) জাতীয় পার্টির সদস্য নাসরিন জাহান রত্নার এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে যখন বাড়ে, তখন দেশে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অধিক পরিমাণে বাড়ানো হয়, যখন কমে তখন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সমপরিমাণ কমানো হয় না এই বক্তব্য ঠিক নয়।
সরকারি দলের সদস্য মো. মোজাফ্ফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী সংসদে জানান, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, জাপান, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পণ্য রফতানি করে থাকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ২০৩টি দেশে ৭৫১টি পণ্য রফতানি করা হয়েছে। পণ্য রফতানি করে এই সময়ে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।
সরকার দলের অপর সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন পূর্বে সয়াবিন তেল মজুত করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে দাঁড় করানোর অপচেষ্টার জন্য দায়ীদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সয়াবিন তেল মজুত করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মাধ্যমে পরিচালিত বাজার মনিটরিং টিম দায়ী ব্যক্তিদের জরিমানা করেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাও রুজু করা হচ্ছে। এছাড়া সয়াবিন তেলের বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মাধ্যমে সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী বা রিফাইনারি মিলগুলোতে, পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজার তদারকি বা অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি জানান, চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে ৯ হাজার ৭৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৪শ’ টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।