বিএনএ ডেস্ক: বিএনপি মিথ্যা বানানোর কারখানা, তারা মিথ্যা কথা বলতে ও বানাতে ভাল পারে। কিছু লোক সেটা বিশ্বাস করে বসে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করা হয়েছে। এটা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। বিএনপি আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজা পেয়েছে খালেদা জিয়া। শুধু এতিমের অর্থ কেন নাইকো, গেটকো এ রকম বহু মামলা ঝুলে আছে। প্রত্যেকটা প্রজেক্টে দুর্নীতি করে তারা টাকা বানিয়েছে। তাহলে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে তারা আবার প্রশ্ন তোলে কোন মুখে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই দুর্নীতি করে যদি টাকা না বানাবে বিদেশে এত বিলাস বহুল জীবন-যাপন করে কি করে? কত টাকা খরচ করে সেখানে কোম্পানি খুলেছে এবং সেই কোম্পানিতে প্রথমেই সে যে (তারেক) ব্রিটিশ নাগরিক সেটা লিখেছে। এক বছর পরে সেটাকে আবার সংশোধন করে সেখানে বাংলাদেশের নাগরিক লিখেছে। কারণ মিথ্যা কথা লেখাতে ধরা পড়ে যায়। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ব্রিটিশরা কীভাবে নাগরিকত্ব দেয়? সেটা এখন তারা উইথড্র করেছে। এখন বাংলাদেশের লিখেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মা সেতু ২৫ তারিখ উদ্বোধন করা হবে। আমাদের যে এত বড় একটা অর্জন পদ্মা সেতু। যেটা বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল, যেটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। প্রমাণ করতে পারেনি। বলেন, কানাডার কোর্টে মামলা দিয়েছিল। সেই মামলায় স্পষ্টভাবে রায়ে বলা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যে যে অভিযোগ এনেছে সবই মিথ্যা-ভুয়া, কোনোটাই সঠিক না। একটা অপবাদ দিতে চেয়েছিল সেটা তো আজকে প্রমাণিত যে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
যমুনা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে খুব বেশি এগোতে পারেনি। কারণ সব জায়গায় তো কমিশন খাওয়ার অভ্যাস। আবার কমিশন তো একজনকে দিলে হবে না। মায়ের জন্য একটা, দুই ছেলের জন্য দুইটা, ফালুর জন্য একটা, অমুকের জন্য একটা- এই করতে করতে কেউ আর ওখানে কাজ করতে পারত না। সেই কারণেই কোনো কিছু এগোতে পারেনি। আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এই যমুনা সেতুতে রেল লাইন, গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎতের লাইন নিয়ে এটার ডিজাইনটা আবার মাল্টিপারপাস ব্রিজ করে আমরা তৈরি করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের প্রকৃতি, মানুষের উন্নয়ন আওয়ামী লীগ যতটা বুঝবে অন্যরা তা বুঝবে না। বুঝবে কী করে? বিএনপির হৃদয়ে তো থাকে পাকিস্তান। তাদের মনেই আছে পাকিস্তান। দিল ম্যা হ্যায় প্যায়ারে পাকিস্তান। সারাক্ষণ গুনগুন করে ওই গানই গায়। এই যাদের মানসিকতা তাদের দ্বারা তো বাংলাদেশের ভালো চাইবে না এটা খুব স্বাভাবিক।
করোনা আবার বাড়ছে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা কিন্তু এখানেই থামবে না। এই পানি আস্তে আস্তে নিচে যত নামতে থাকবে ধীরে ধীরে একেকটা এলাকা প্লাবিত হতে থাকবে। কাজেই আমাদের সেই প্রস্তুতিও রাখতে হবে। এটা কিন্তু একেবারে ভাদ্র মাস পর্যন্ত চলবে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলতে পারে এই বন্যা। সেটা মাথায় রেখেই আমাদের কিন্তু প্রস্তুতি নিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা হয়েছে, আজ পর্যন্ত বিএনপির কোনো নেতা বা কেউ কোনো সাহায্য দিয়েছে বানভাসিদের? দেয়নি। ঢাকায় বসে বসে তাদের দলের নেতারা মায়া কান্না করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেকোন দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকে। এই বন্যায়ও সবার আগে মানুষের পাশে ছুটে গেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বিএনএ/ এ আর